পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vry ) থাকাই যেমন সুখের প্রতি কারণ হয়, বসন্ত কালে যেমন প্ৰতি নিঃশ্বাসে আমরা অভূতপূৰ্ব আনন্দ অনায়াসে প্রাপ্ত হই, তেমনি ধৰ্ম্মরূপ জীবন-প্ৰাপ্ত মনুষ্য অযত্নসম্ভত সহজ আনন্দ নিরন্তর উপভোগ করেন । তিনি এখানে যে জীবন ও আনন্দ প্ৰাপ্ত হয়েন, সেই জীবন ও আনন্দই পরকালে প্ৰাপ্ত হয়েন ; (कदल डांश ऊर्थश ठन्ड ऊद अदलश्न করে, এইমাত্ৰ প্ৰভেদ । কেবল তাহার শরীর ভাঙ্গিয়া যায় ; তঁহার জীবন ও আনন্দ উন্নত নুতন অবস্থায় স্ফরিত হয় । যিনি বাহা জগৎ সম্বন্ধে আত্মাসম্বন্ধে বসন্ত প্রেরণ করেন, আদ্য সেই মধুময় পুৰুষকে সৰ্ব্বান্তঃকরণের সহিত উপাসনা করিয়া জন্ম সার্থক কর । আদ্য সাংসারিক শোক দুঃখ বিস্মরণ পূর্বক সেই সকল সৌন্দৰ্য্যের সৃষ্টিকৰ্ত্তাকে সম্মুখস্থ করিয়া উৎসবের আনন্দে নিমগ্ন হও । যেমন মৰ্ত্ত্য লোকের পিতা কখন এমত ইচ্ছা করেন না যে বালক সাংসারিক চিন্তায় অভিভূত হইয়া সর্বদা বিষঃবদন হইয়া থাকে, তেমনি আমাদিগের পরম পিতার কখন ইচ্ছা নয় যে, কেবল সাংসারিক উদ্বেগে উদ্বিগ্ন থাকিয়া আমরা কাল যাপন করি। বালক যেমন সম্পূর্ণ রূপে পিতার প্রতি নির্ভর করিয়া নিশ্চিন্ত থাকে, তেমনি আইস আমাদিগের ভাবী। সুখ দুঃখ সেই পরম পিতার হস্তে সমর্পণ করিয়া আমরা নিশ্চিন্তু হই । যে ব্যক্তি বালকের ন্যায় নির্ভর-ভাবাপন্ন, সরল, নির্দোষ ও সদানন্দ না হইতে পারেন, তিনি ঈশ্বর হইতে অনেক দূর। সেই ব্যক্তিই প্রকৃত মনুষ্য, যিনি প্রৌঢ়াবস্থায় অভিজ্ঞতার সহিত বালকের ঔদাৰ্য্য ও সারল্য সংযোগ করেন । বসন্তকাল বাল্যকালের প্রতিরূপ ; এক্ষণে বিষন্ন থাকা কখনই 11