পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্থান ১৭৮৬ শক । in ----< ཁཁོ་ཚས་ - - ح*۔ -=- অদ্য আমাদিগের বসন্তীয় উৎসবের দিবস উপস্থিত । আদ্য আমাদিগকে তিন প্রকার সৌন্দৰ্য এই স্থানে আকর্ষণ করিয়াছে; বসন্তের সৌন্দৰ্য, সখ্যভাবের সৌন্দৰ্য্য এবং ঈশ্বরের সৌন্দৰ্য্য । বসন্ত কালে জগতে নবজীবন ও নবরসের আবির্ভাব হয় ; বন ও উপবন সকল নব পল্লব ও মুকুলকুলে পরিশোভিত হইয়া চিত্ত হরণ করে ; পক্ষিগণ নুতন স্ফৰ্ত্তি প্ৰাপ্তি পূর্বক অবৰুদ্ধ কণ্ঠ সকল পরিমুক্ত করিয়া সঙ্গীতসুষ্ঠা বর্ষণ করে ; অপূৰ্ব্ব মলয়সমীরণ মন্দ মন্দ প্রবাহিত হইয়া শরীর মধ্যে আশ্চৰ্য সুখের সঞ্চার করে । কিন্তু বসন্তের সৌন্দৰ্য্য আপেক্ষা সখ্য ভাবের সৌন্দৰ্য্য কি শ্রেষ্ঠ ! যখন হৃদয় হৃদয়কে আকর্ষণ করে, যখন এক সরল সত্য-নিষ্ঠ ঈশ্বর-পরায়ণ মন অন্য সরল সত্য-নিষ্ঠ ঈশ্বর-পরায়ণ মমের সৌন্দর্ঘ্যে মোহিত হইয়া প্ৰণয়পাশে বন্ধ হয়, সে ভাবের সৌন্দৰ্যের নিকট বসন্তের সৌন্দৰ্য কোথায় ? কিন্তু যিনি বসন্তের সৌন্দর্ঘ্যের সৃষ্টি-কৰ্ত্তা ও সখ্যভাবের সৌন্দর্ঘ্যের জনয়িতা, তাহার সৌন্দর্যের কি সীমা আছে ? তিনি সৌন্দৰ্য্যের প্রস্রবণ ; তঁহা হইতে সকল জ্যোতি, সকল শোভা ও সকল সৌন্দৰ্য্য বিনিঃসৃত হইতেছে। তিনি গুণের আঁকার, তিনি সৌন্দর্ঘ্যের সাগর। ঈশ্বরের অনুপাম গুণই তাঁহার সৌন্দৰ্য্য। সে সৌন্দর্য্যের সহিত চৰ্ম্মের সম্পর্ক নাই, সে সৌন্দৰ্যের সহিত মলার সম্বন্ধ নাই। সে সৌন্দৰ্য্য যে ব্যক্তি নিরীক্ষণ করিতেছে,