পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سراسرا ] আসিল । বোধ হইতেছে যেন, তপঃস্বাধ্যায়নিরত মহর্ষি বাল্মীকির আত্মা অদ্যপি এখানে সঞ্চরণ করিতেছে। যখন আমরা মনে করি যে তিনি এই তপোবনে রামায়ণের প্রারম্ভে পরিকীৰ্ত্তিত যে আজ নিগুণ গুণাত্মক লোকধারী পুৰুষের উপাসনা করিতেন, আমরা আদ্য এখানে প্ৰায় পঞ্চ সহস্ৰ বৎসর পরে সেই নিরতিশয় মহানু পুৰুষের উপাসনা করিতেছি। যখন আমরা মনে করি যে তিনি যে ব্ৰহ্ম নাম উচ্চারণ পূর্বক ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন, সেই নাম উচ্চারণ পূর্বক আমরা এখনও উপাসনা করিতেছি । যখন আমরা বিবেচনা করি যে, য়ে উপনিষদের শ্লোক সকল তিনি পাঠ করিয়া ব্ৰহ্মানন্দারস পান করিতেন, সেই সকল উপনিষদের শ্লোক আমরা পাঠ করিয়া অদ্য সেই ব্ৰহ্মানন্দ-রস পান করিতেছি, তখন আমাদিগের মনে কি বিস্ময়-রাসের আবির্ভাব হয় ! ইহাতে বোধ হইতেছে যে যাবৎ গিরি ও স্রোতস্বিতী সকল মহীতলে স্থিতি করিবে, তাবৎ ব্ৰহ্ম নাম, তাবৎ প্রকৃত হিন্দু ধৰ্ম্ম এই ভারতমণ্ডলে বিদ্যমান থাকিবে । যখন আমরা বিবেচনা করি যে, যে সকল গভীর মহোচ্চ সত্য-ভাব-প্ৰতিপাদক শব্দ আমাদিগের প্রাচীন ঋষিরা হিমবৎ গুহাদি হইতে নিঃসারণ পূর্বক ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন, সেই সকল শব্দ উচ্চারণ পূর্বক আমরা এখনও ঈশ্বরের উপাসনা করিতেছি, তখন স্বদেশপ্ৰেমাগ্নি আমাদিগের হৃদয়-মধ্যে কিরূপ প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠে । হে ব্ৰাহ্মগণ ! ইহা তোমাদিগের পৈতৃক ধন ; এই পৈতৃক ধনকে তোমরা কখন অবহেলা করিও না। এই পৈতৃক ধনের সাহায্য লইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারে যত্নবান হও, তাহা হইলে অচিরাৎ