পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( d R ] প্রীতি অন্যরূপ । ঈশ্বর শান্ত-স্বরূপ ; যদি আমাদিগের প্রকৃতিকে ঈশ্বরের অনুগত করা ধৰ্ম্মের চরম লক্ষ্য হয়, তবে শান্তস্বরূপ ঈশ্বরকে শান্ত ভাবে উপাসনা করা বিধেয় । শান্ত ভাবে সৰ্বদ ঈশ্বরের মাধুৰ্যের গাঢ় আম্বাদনই ঈশ্বরের প্রকৃত উপাসনা । কোন ঋষি এই রূপ উক্তি করিয়াছেন যে,- “নিস্তরঙ্গোহতিগম্ভীরঃ সাভিদানন্দসুধাৰ্ণবঃ। মধুৰ্যৈকর।সাধার এক এবান্তি সৰ্ব্বতঃ ৷” ‘ঈশ্বর নিস্তরঙ্গ অতি গম্ভীর নিবিড় আনন্দস্বরূপ, সুধাসমুদ্র, মাধুৰ্য রসের এক মাত্ৰ আধার ও সর্বস্থান ব্যাপী ।” র্যাহার হৃদয় হইতে এই শ্লোক নিঃসৃত হইয়া ছিল, তিনি কি রূপ ঈশ্বর-প্ৰেমী না ছিলেন। “ঈশ্বর সুধাসমূদ্র ও মাধুৰ্য রসের এক মাত্ৰ আধার” যিনি এই বাক্য উচ্চারণ করিয়াছিলেন, তিনি ঈশ্বরের মাধুৰ্য্য ও শান্তি কি রূপ আস্বাদন না করিয়াছিলেন । যে মহর্ষি এই শ্লোক রচনা করিয়াছিলেন, তঁহার নাম বশিষ্ঠ ; তিনি কত বার এই তপোবনে আগমন করিয়া মহর্ষি বাল্মীকির সঙ্গে ব্ৰহ্মপ্রসঙ্গ করত ব্ৰহ্মানন্দপীযুষ পান করিয়াছিলেন ; আমরা ক্ষুদ্র ব্যক্তি হইয়াও এখানে সেই প্রসঙ্গ করত। সেই পীযুষ পান করিয়া কৃতাৰ্থ হইতেছি। তৃতীয়তঃ, মহৰ্ষিরা যশস্পাহ-শূন্য ছিলেন। এবিষয়ে তঁহাদিগের অনুকরণ করা অতীব কৰ্ত্তব্য। আমরা সংবাদ পত্রে কোন প্ৰস্তাব লিখিলে, আমরা সেই প্ৰস্তাবের লেখক ইহা লোককে জানাইবার জন্য কতই ব্যগ্ৰ ন হই, কিম্বা বক্ততা করিয়া প্ৰশংসা-সুচক যথেষ্ট করতালি প্ৰাপ্ত না হইলে আমরা কতই ক্ষুব্ধ না হই, কিন্তু মহৰ্ষিরা এই রূপ যশোলোলুপ ছিলেন না,