পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৯৩ ৷৷ তঁহারা আপনাদিগের নাম না দিয়া, কতই গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছেন। কত ধৰ্ম্মগ্রন্থ সংস্কৃত ভাষায় আছে, যাহাতে গ্ৰন্থকৰ্ত্তার কোন নাম নাই । মহৰ্ষির যশোর আকাঙ্ক্ষা করিতেন। না, তঁহারা অস্থায়ী যশের জন্য ব্যাকুল ছিলেন না, জগতের মঙ্গল সাধন হইলেই তাঁহারা সন্তোষ লাভ করিতেন। কিসে জগতের যথার্থ মঙ্গল সাধন হয়, এই বিষয়ে তঁহাদিগের ভ্রম ছিল ; ভ্রম-শূন্য মনুষ্য কোথায় আছে ? কিন্তু জগতের মঙ্গল সাধনই তাহাদিগের কাৰ্য্যের এক মাত্ৰ উদ্দেশ্য ছিল, ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবেক । চতুর্থতঃ, ঋষির আড়ম্বর-প্রিয়ত-শূন্য ছিলেন। ভীহাদের ব্ৰহ্মোপাসনায় আড়ম্বর ছিল না । ব্ৰহ্মোপাসনায় আড়ম্বর যত বৃদ্ধি পায়, ততই আধ্যাত্মিক পবিত্রতার প্রতি লক্ষ্য না থাকিয়া কেবল বাহ্যিাড়ম্বরের প্রতি লোকের মনোযোগ বদ্ধিত হয় । ঈশ্বরে চিত্ত সমাধান করিয়া ভঁাহার মাধুৰ্য্য ক্রমাগত আস্বাদন করার সঙ্গে বাহ্যিাড়ম্বর সঙ্গত হয় না । ঋষিদিগের এই সকল গুণ অনুকরণ করিতে গিয়া তাহাদিগের দোষ অনুকরণে যেন আমরা প্ৰবৃত্ত না হই; শান্তভাব অবলম্বন করিতে গিয়া লোক-সমাজের প্রতি আমাদিগের মহানু কৰ্ত্তব্য সকল যেন আমরা বিস্মৃত না হই। ঋষিরালোকসমাজ পরিত্যাগ করিয়া কেবল ঈশ্বরের শ্রবণ, মনন, ও নিদিধ্যাসনে নিযুক্ত থাকিতেন । কিন্তু ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম আমাদিগকে উপদেশ দিতেছেন যে, যেমন ঈশ্বরকে প্রীতি করিতে হইবে, তেমনি তঁহার প্ৰিয় কাৰ্য্য সাধনও করিতে হইবে । এই দুই