পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 এর সমন্বয় অতি দুষ্কর। কাৰ্য, কিন্তু তাহ অবশ্য আমাদিগকে সম্পাদনা করিতেই হইবে । হে নিস্তরঙ্গ অতি গম্ভীর শান্তি-সমুদ্র ! হে নিবিড়-আনন্দস্বরূপ! হে সুধা-পারাবার ! হে মাধুৰ্য রসের এক মাত্র আধার ! তোমার প্রতি আমাদিগের মনকে আকর্ষণ কর, যাহাতে আমরা তোমার সহিত আত্মার নিগুঢ় যোগ সম্পাদনা করিতে পারি, যাহাতে তোমার মনন নিশ্বাস প্ৰশ্বাসের ন্যায় নিয়ত সম্পাদিত হইয়া সহজ ও আমাদিগের স্বভাব-সিদ্ধ হয়, এমত ক্ষমতা আমাদিগকে প্ৰদান কর । হে “শান্ত শিব অদ্বৈত !” আমাদিগের মনে অপার শান্তি প্রেরণ কর, দুরন্ত ইতিন্দ্ৰয় সকল আমাদিগকে গ্ৰাস করিতে আসিতেছে, আমাদিগকে রক্ষা কর । ঋষিদিগের বলবৎ স্বন্ধের উপর তুমি অপেক্ষাকৃত লঘুভার অর্পণ করিয়াছিলে, কিন্তু আমাদিগের ক্ষীণ স্বন্ধের উপর তুমি অতীব গুৰুভার অপণ করিয়াছ । কি রূপে তোমার প্রতি প্ৰীতি ও তোমার প্রিয় কাৰ্য্য সাধনের সমন্বয় সম্পাদনা করিব। এই চিন্তাতে আমরা আকুল হইতেছি। এক এক বার সংসারের ভীষণ তরঙ্গ দেখিয়, যখন আমরা ভয়েতে মিয়মাণ হই তখন বোধ হয় যে ঋষিরা সংসার আশ্রম পরিত্যাগ করিয়া একপ্রকার ভালই করিতেন ; কিন্তু লোক-সমাজের প্রতি আমাদিগের মহানু কৰ্ত্তব্য যখন স্মরণ করি, তখন লোক-সমাজের দিকে আমাদিগের মন অতিশয় হেলিত হয়। হে নাথ ! আমরা বিষম শঙ্কটে পতিত হইয়াছি ; আমাদিগের ক্ষীণ স্বন্ধ এ দুঃসহ ভার সহ্য করিতে অক্ষম হইতেছে। কিন্তু আমাদিগের স্কন্ধকে কেন আমরা ক্ষীণ