পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o রাজপুত জীবন-সন্ধা । দলের উপর উপবেশন করিলেন। ক্ষণেক শ্রমদূর করি। নিঋরের জলে হস্ত মুখ প্রক্ষালন করিলেন। কিছু ফল মূলের আয়োজন করা হইয়াছিল, দুৰ্গেশ্বর ও র্তাহার যোদ্ধাগণ আনন্দে তাহা আহার করিতে বসিলেন। পুরাতন রীতি অনুসারে দুৰ্গেশ্বর সাহসী যোদ্ধাদিগকে “দোনা,” অর্থাৎ আপন পাত্র হইতে আহার পঠাইলেন, তাহারাও এই সম্মানচিহ্ন সাদরে গ্রহণ করিলেন । নানারূপ কথা ও হাস্যধ্বনিতে বন ধ্বনিত হইল। পূৰ্ব্বঘটনার, পূৰ্ব্বযুদ্ধের কথা হইতে লাগিল। কিরূপে উপস্থিত যোদ্ধাগণ দুর্গ প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিয়াছিলেন, কিরূপে শত্রুকে হনন করিয়াছিলেন, সালুম্রাপতির প্রীতিভাজন হইয়াছিলেন, স্বয়ং রাণার সাধুবাদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, সেই সমস্ত কথা হইতে লাগিল । এবার মেওয়ার প্রদেশের বন্ড শক্র, স্বয়ং দিল্লীশ্বর অসিলেছেন । মাড় ওয়ার,অস্বর, বিকানীর ও বুন্দির রাজগণ স্নেচ্ছের সহিত যোগ দিয়া মেওয়ার আক্রমণে আসিতেছেন। কিন্তু রাণার অবশু জর হইবে । অথবা যদি পরাজয় হয়, চন্দাওয়ংকুল সেই যুদ্ধভূমিতে প্রাণদান করিবে, চন্দাওয়ংকুল পলায়ন জানে না। দুজ্জয়সিংহ একথা বলিতে না বলিতে যোদ্ধার। উৎসাহে ও উল্লাসে সাধুবাদ করিলেন । ভুজয়সিংহ বলিলেন—আট বৎসর পূৰ্ব্বে যখন এই আকবর সাহ চিতোর হস্তগত করেন, রাণী উদয়সিংহ দুগত্যাগ করিয়াছিলেন, কিন্তু সালুম্রাপতি সাইদাস দুর্গত্যাগ করেন নাই, চন্দাওয়ংকুলেশ্বর সাইদাস দুর্গত্যাগ করেন নাই । চারণদেব ! সেদিনকার কথা একবার যোদ্ধাগণকে শুনা ও, চন্দা ওয়ংকুল কিরূপে যুদ্ধ করে একবার শ্রবণ করি।