ጏ P!' রাজপুত জীবন-সন্ধ্য।
- .ജി.ബി
মুসলমানদিগের উদ্যম ভঙ্গ দেখিয়া চন্দনসিংহ প্রাচীরের উপর উঠিলেন। দেখিলেন, প্রায় এক সহস্র মুসলমান দ্বারের বাহিরে বিশ্রাম করিতেছে, বুঝিলেন, যুদ্ধ শেষ হয় নাই, ক্ষণেক নিবৃত্ত হইয়াছে মাত্র। দুর্গের ভিতরে চাহিলেন ; দেখিলেন, কেবল দুই শত জন রাঠোর। যুবকের ভ্ৰকুঞ্চিত হইল, ললাট চিন্তাচ্ছন্ন হইল । ক্ষণমাত্র চিন্তার পরই যেন প্রতিজ্ঞা স্থির হইল, তখন ঈষৎ হাসিয়া প্রাচীর হইতে অবতীর্ণ হইলেন । যোদ্ধাগণকে চারিদিকে ডাকিয় কছিলেন—বন্ধুগণ, মনুষ্যের যাহা সাধ্য, রাজপুতের স্বাহ সাধ্য, তাহা করিয়াছি। অামার পণ রক্ষা করিয়াছি, স্থৰ্য্যদেব আকাশে উদিত হইয়াছেন। এক্ষণে দুর্গ বাহিরে সহস্র যবন, ভিতরে কেবল মাত্র আমরা জীবিত আছি। এক্ষণে তোমাদিগের কি পরামর্শ ? একজন রাঠোর উত্তর করিলেন–রাঠোর সন্মুখরণে প্রাণত্যাগ ভিন্ন অন্ত পরামর্শ জানে না ? চন্দনসিংহ। তাহার পর ? তাহার পর আমাদিগের মাত, ভগিনী, বনিতা, যবনের গোলী হইবে । রাজপুত-রমণী দিল্লীতে বিলাসের দ্রব্য হইবে ! রোষে সকলের মুখ রক্তবর্ণ হইল, কোষ হইতে অসি অৰ্দ্ধেক বহির্গত হইল । তথাপি রাজপুতমণ্ডলী সঞ্চলে স্তন্ধ ও বাক্যশূন্য। অৰ্দ্ধস্কটস্বরে কেহ কেহ একটা ভয়ঙ্কর কথা উচ্চারণ করিল— "চিতারোহণ !” ক্রমে সকলে সমস্বরে কহিল—“পুরুষের রণश्रृंक्ाा, ब्रभीव्र क्लिङicब्राश्न् ।' চনানসিংহ তখন অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। তথায়
