পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুত জীবন-সন্ধ্য। এখনও সূর্য্যকিরণে উজ্জল দেখাইতেছে, প্রভাত-সমীরণ যোদ্ধাদিগের পতাকা লইয়া ক্রীড়া করিতেছে। পৰ্ব্বতের উপর পৰ্ব্বতশৃঙ্গ যেন নিষ্কম্প, নিৰ্ব্বাক প্রহরীর ন্তায় সেই সুন্দর দেশ রক্ষা করিতেছে। যোদ্ধাগণ একটা পৰ্ব্বতের উপর দিয়া যাইতে লাগিলেন, মুহুর্তের জন্য সেই পৰ্ব্বতের উপর সমরবাদ্য ও লোক-কোলাহল শ্রুত হইল, মুহূর্বের জন্ত পৰ্ব্বতে উড্ডীন পতাকা ও সৈন্তসার দৃষ্ট হইল। অচিরে সৈন্তসার পর্বত হইতে অবতরণ করিয়া একটা বনের মধ্যে প্রবেশ করিল, পৰ্ব্বত পুনরায় নির্জন, শান্ত, নিস্তব্ধ ! বনের আনন্দময়ী শোভা দেখিয়া অশ্বারোহিদিগের হৃদয় উল্লাসপুর্ণ হইল। নিবিড় বনের ভিতর স্বৰ্য্যরশ্মি প্রবেশ করিতে পারে না, অথবা দুই এক স্থলে পত্রের ভিতর দিয়া দুই একটা রশ্মিরেখা দেখা যাইতেছে। বসস্তের সহস্ৰ পক্ষী প্রাতঃকালে সুন্দর গীত আরম্ভ করিয়াছে, যেন সে নির্জন বনস্থলী তাছাদিগের উৎসবগৃহ, আজি উৎসবের দিন! সেই নির্জন ছায়াপূর্ণ বনস্থলী একবার সৈন্তরবে পরিপূরিত হইল, বৃক্ষ হইতে বৃক্ষান্তরে সৈন্যকোলাহল প্রতিধ্বনিত হইল। অচিরে সৈন্যগণ বন পার হইয়া যাইল, পুনরায় বন নিজন, নিঃশব্দ, অথবা কেবল বিহঙ্গবিহঙ্গিনীদিগের আনন্দনীয় কলরবে জাগরিত । বন অতিক্রম করিয়া সৈন্যগণ একটী বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে আলিয়। উপস্থিত হইল ; চারিদিকে কেবল পৰ্ব্বতশ্রেণী দেথা যাইতেছে, মধ্যে সমতল ভূমিতে স্বপক্ক যবধান্য বায়ুতে হ্রদের লম্বুরীর ন্যায় ছুলিতেছে। কোন কোন স্থলে অহিফেনের রক্তপুষ্প সমুদয় সেই হরিদ্র যবশস্তের মধ্যে শোভা পাইতেছে। নীল নিৰ্ম্মেঘ আকাশ