পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ab" রাজপুত জীবন-সন্ধ্য। করিতেন, অতিরিক্ত কর চাহিতেন, সময়ে সময়ে সৰ্ব্বস্ব কাড়িয়া লইতেন। চন্দ্রপুরের বৃদ্ধ সর্দার গোকুলদাস পুত্র কেশবদাসকে সৰ্ব্বদা কহিত—এ অত্যাচার চির কাল থাকিবে না, তিলকসিংহের রাজ্য তিলক সিংহের পুত্র অধিকার করিবে, ভগবান করুন, যেন সে দিন শীঘ্ন আtষ্টসে । দিন দিন দুৰ্জ্জয়সিংহের অত্যাচার অসহ্য হইয়া উঠিল । শেষে গ্রামের লোক অার সহা করিতে পারিল না, পরামর্শ করিতে লাগিল—আমরা কি জন্ত দুজ্জয়সিংহের দাস হইব ? অামাদিগের প্রভু তিলক সিংহ হত হইয়াছেন, দুজ্জয়সিংহ কি তাহার উত্তরাধিকারী ? পথের দস্থ্য কি দুর্গের অধীশ্বর ? ঐ দমু্যর বিরুদ্ধচরণ করিলে কি আমাদের স্বামীধৰ্ম্মের কোন ক্ষতি আছে ? আমাদের বাপতী (পৈতৃক ভূমিতে প্রজার অক্ষয় স্বত্ব) আমরা ত দুৰ্জ্জয়সিংহের নিকট বিক্রয় করি নাই। তিলকসিংহের উত্তরাধিকারী আসুন, আমরা তাহার বশী, অন্ত কাহার ও নহি । গ্রামের লোকের মধ্যে এইরূপ ভাব ক্রসে বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। ক্রুদ্ধ দুর্জয়সিংহ প্রজাদিগের এই বিদ্রোহ ভাব দেখিয়া আরও ক্রোধান্বিত হইলেন, প্রজাদিগকে উচিত শিক্ষা দিবার জন্য প্রধান প্রধান কয়েক জনকে নিজ দুর্গে ধরিয়া আনাইলেন। দুৰ্জ্জয়সিংহ বিচার করিয়া সমস্ত প্রজার অর্থদণ্ড করিলেন, এবং সর্দার গোকুলদাসের পুল্ল কেশবদাসের বিদ্রোহিত দোষে প্রাণদ গু করিলেন । .ইহার তিন বৎসর পর অদ্য দুৰ্জ্জয়সিংহ সৈন্ত সামন্ত লইয়া এই গ্রামের ভিতর দিয়া যাইতেছিলেন । যাইতে যাইতে শস্তক্ষেত্রের মধ্যে একজন দীর্ঘাকার লোককে দেখিতে পাইলেন ।