পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ-নাহাবা ম'রে। צף


------ -- -------- --------

বাক্যে আমি রুষ্ট হই নাই, তোমার পিতাকে জানিতাম, তাহার পুত্রকে তাহার উপযুক্ত দেখিয়া পরিতুষ্ট হইলাম। এক্ষণে তোমার কি প্রাগন নিবেদন কর, তিলকসিংহের পুত্রকে চারণীর কিছুই অদেয় নাই। তেজসি’হ। দেবি । ভূত, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান আপনার কিছুই অবিদিত নাই। বিধির নিদগ্ধ নশ্বর মানবের নিকট লুক্কায়িত কিন্তু দেবীর দুবৰিচারিণী দৃষ্টি হইতে বিধির লিখন লুক্কায়িত নহে । একদিন বালক সংগ্রামসিংহ এই নাহারা মগ্‌রোতে * আপন ললাটের লিখন জানিতে আসিয়াছিলেন ; অদ্য তিলকসিংহের পুত্ৰ—দুর্গচ্যুত, ভালপালিত, অনাথ তেজসিংহ সেই নাহার মগরোতে আপন ললাটের লিখন জানিতে আসিয়াছে। মাতার হত্যা ও বংশের অবমাননার প্রতিহিংসার কতদিন বিলম্ব আছে, দেবীর চরণে তাহাই জানিতে আসিয়াছে। যদি আজ্ঞা হয়, তবে সেই কথা বলিয়া এ তাপিত হৃদয়কে শান্তিদান করুন । চারণী । তিলকসিংহের বালক । ভবিষ্যতের যবনিক। উত্তোলন করিবার আকাঙ্ক্ষা করিও না, এ রাশা ত্যাগ কর। নশ্বর মানবজীবন ক্লেশপরিপূর্ণ, চিন্তাপরিপূর্ণ, কিন্তু তথাপি ংকলহণীয় নহে। কেননা মিষ্টভাঘিণী আশী সঙ্গে সঙ্গে আপন ঐন্দ্রজালিক দীপ জালিয়া সম্মুখে নানা সুন্দর দ্রব্য পরিদর্শন করে ; ক্লেশের শান্তি, মুখের আবির্ভাব, এই সমস্ত মরীচিকা পরিদর্শন করিয়া হৃদয় শান্ত রাখে। তেজসিংহ ! ভবিষ্যৎযবনিক উত্তোলন কবিও না, তাছা হইলে মায়াবিনী অাশার "------- — - - - - -- ––

  • মাহারামগরে অর্থাৎ ব্যাঘ্র পঞ্চত।