পাতা:রাজবালা নাটক.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ রাজবালা নাটক । যেন শরদের জলে স্বান করে, রজত থালের মত নীলগগনে ভেসে আসছেন, এখন কিরণগুলি উজ্জ্বল হয় না-কিন্তু ভারও দেরি নাই । মরি, মরি, কাননে কেমন মিষ্টধ্বনি হচ্চে ! কত পার্থী একতানে কলকল করতেছে ! এরা কি সকলে মিলে নুতন চাদের গুণ গাচ্চে ? কত রজনীগন্ধা, কত মল্লিকা ফুটলে,—ঐ জলে এই কুমুদিনীগুলি মুদিত ছিল, এবার যেন হেসে হেসে চক্ষু মিলছে—ভাইভ, দেখতে দেখতে কত ফুল ফুটলো, নীচের দিকে দেখলে বোধ হয় যেন বসুমতী একটি বড় পুষ্পপাত্রে ফুল ভরে চন্দ্ৰঠাকুরকে উপহার দিতেছেন-দেখতে দেখতে যে সব আলো হল—কভ তারা ফুটলো—যেন শ্বেভজলে জগৎ শুদ্ধ হলকরা হল—চারি দিকে প্রমোদ—কেন আমার আমোদের সামগ্রী দূরে ? দিন যায় নিশা আসে, ডুবে দিনমণি, গুমরে গুমরে ভাবি সেই গুণমণি, উদয় গগন-শিরে শরদের চাদ, যুবতী জনের মনে পাতি প্রেম-ফঁদ, চুম্বে কুমুদীর মুখ সুধাংশুর করে, চালিয়ে মিলন বারি প্রেমের অন্ধুরে, ভ্ৰমিছে সন্ধ্যার বায়ু কত ফুল্ল ফুলে, লইছে মনের মত পরিমল তুলে, বিহরিছে প্রণয়িনী সহ পার্থী মুখে, লভিছে প্রেমের সুধা মুখ দিয়ে মুখে, নিদাৰুণ কেবল আমার পক্ষে বিধি, কোথায় রেখেছে দূরে প্রণয়ের নিধি !