পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১১৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৯০
বিজয়মাণিক্য ও দৈত্যনারায়ণ

মনে মনে ভাবিলেন—ধিক্ আমাকে, আমি ত রাজা নহি! দৈত্যনারায়ণের দৈত্যপণার দর্শক মাত্র, কিন্তু এভাবে আর কত কাল থাকিব? এইরূপ চিন্তা করিয়া দৈত্যনারায়ণের বড় জামাতা মাধবকে ডাকাইলেন।

 মাধবের সহিত অনেক গোপন পরামর্শ হইল। মাধব যখন বুঝিতে পারিলেন দৈত্যনারায়ণকে সরান রাজার অভিপ্রেত তখন ভয়ে কাঁচুমাচু করিয়া উঠিলেন। “ইহা কি সম্ভব? যদি আমার ঘরে সেনাপতির মৃত্যু ঘটে তবে আপনার রাণী কি আমাকে রেহাই দিবেন?” তারপর অনেক আলাপের পর স্থির হইল মাধব ভূষণা চলিয়া যাইবেন, সেখানে দৈত্যনারায়ণকে কৌশলে আনিয়া তাহার বধ সাধন করাইতে হইবে। বিজয়মাণিক্য সাবধান করিয়া দিলেন রাজার নামে কেহ ডাকিলেও মাধব যেন উহা বিশ্বাস না করেন, যখন তাঁহার হাতের হীরার অঙ্গুরী লইয়া কেহ যাইবে তখনই মাধব বুঝিবেন ইহা সত্যিকার ডাক, ছল নহে। এই স্থির করিয়া মাধব ভূষণায় গেলেন।

 দৈত্যনারায়ণ মাধবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে ভূষণায় আসিয়া দেখেন মাধব বড়ই বিমর্ষ। আহার করিয়া সেনাপতি পানে মত্ত হইয়া পড়িলেন তখন তাঁহাকে বধ করা কঠিন হইল না। তারপর ঘরে আগুন ধরাইয়া দেওয়া হইল, উদ্দেশ্য দৈত্যনারায়ণ পুড়িয়া মরিয়াছেন এই প্রচার করা। খবর রাজার নিকট পৌঁছিতেই তিনি সৈন্যসামন্তের শপথ গ্রহণ করিয়া নিজকে প্রধান সেনাপতির স্থলে প্রতিষ্ঠিত করিলেন এবং অল্প