পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১২৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১০০
গৌড়াধিপের পরাজয়

উঠে সেদিকেই ত্রিপুর সেনা যমের ন্যায় তাহার শিয়রে দণ্ডায়মান। এ অবস্থায় আর যুদ্ধ কি হইবে? গড় দখল হইয়া গেল, মমারক খাঁ বন্দী হইলেন।

 চট্টল অধিকার হইয়া গেলে পাঠানশিবিরের ধনরত্ন মহারাজের ভেট স্বরূপ সংগৃহীত হইল, তাহার মধ্যে পাঁচশত সোণার কুমড়া ছিল, হাতী ঘোড়ার ত কথাই নাই। বিজয়ী ত্রিপুর সৈন্য সগর্ব্বে রাজধানী প্রবেশ করিল। বিজয়মাণিক্য মমারক খাঁকে মুক্তি দিতে চাহিয়াছিলেন কিন্তু ঘটনাচক্রে মমারক খাঁ নিহত হন। পাঠান সেনার পরাজয়ে বিজয়মাণিক্য যেমনি বিজয় তিলক পরিলেন, গৌড়েশ্বর তেমনি মরমে মরিয়া গেলেন। যুদ্ধের সাতদিন পরে গৌড়ের নবাব সুলেমান মহারাজকে চিঠি দিলেন, “ভাই, বিরোধ ভুলিয়া যাও—তুমি আমার সখা; পদ্মার ঐপার অবধি যাত্রাপুর প্রভৃতি দেশ তোমাকে ছাড়িয়া দিয়া উভয় রাজ্যের সীমানা নির্দ্ধারণ করিব। মমারক খাঁকে মুক্তি দাও ইহা আমার সনির্ব্বন্ধ অনুরোধ।”

 ত্রিপুরেশ্বর সোণার পাতে মুড়াইয়া নবাবের পত্রোত্তর পাঠাইলেন, মমারক জীবিত নাই, এজন্য প্রত্যর্পণ করিতে না পারায় বড়ই দুঃখিত।