পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১০২
বিজয়মাণিক্যের জয়যাত্রা

বহু ব্রাহ্মণ নিমন্ত্রিত হইয়া আসিয়াছিলেন, তাঁহাদিগকে বিষ্ণু প্রীত্যর্থে সোণা দান করা হইল। তারপর ব্রাহ্মণকে পাঁচদ্রোণ জমি ধ্বজঘাটের সমীপে দেওয়া হইল, সেইস্থান আজিও “পাঁচ দোনা” নামে প্রসিদ্ধ। তারপর মহারাজ লক্ষ্মা ও পদ্মাতে স্নান তর্পণ করিয়াছিলেন।

 পদ্মাতীরে মহারাজ কিছুকাল বজরায় বাস করিতেছিলেন এবং শরীররক্ষী প্রহরীরা চড়ের উপর পাহারা দিতেছিল। এমন সময় দূরে এক গাছের উপরে দুইজন লুকাইয়া আছে এইরূপ দেখিতে পাইয়া সন্দেহে তাহাদিগকে ধরা হয় এবং বিজয়মাণিক্যের সমীপে আনা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় ইহারা গৌড়ের নবাবের প্রেরিত চর, মহারাজের কোন অনিষ্ট অভিপ্রায়ে আসে নাই, ত্রিপুর সৈন্যেরা দেখিতে কিরূপ, ইহাদের অস্ত্রশস্ত্র কি আকারের, ঘোড়া চড়ার রীতি কেমন এগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখিয়া নবাবের গোচর করার জন্যই নবাব পাঠাইয়াছেন। মহারাজ এই কথা বিশ্বাস করিয়া তাহাদিগকে গৌড়ে যাইতে দিলেন, প্রাণে মারিলেন না। ইহাতে বিজয়মাণিকোর গভীর উদারতা প্রকাশ পায়।

 সোণার গাঁ জয়ের পর ত্রিপুর সেনা বিক্রমপুর পরিক্রমণ করিয়া আসিল, তথাকার বাঙ্গালীর শীর্ষসমাজ মহারাজকে নতশির হইয়া অভিনন্দন জানাইল। তৎপর বিজয়বাহিনী শ্রীহট্ট অঞ্চল ঘুরিয়া স্বদেশে ফিরিল। বিজয়মাণিকোর জয় যাত্রা সত্য সত্যই জয়যুক্ত হইয়াছিল। ফিরিবার পথে মহারাজ