পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৭৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৪৯
 

কল্যাণমাণিক্য ও
বাদসাহী ফৌজ

পরাজিত হইল, বাদসাহী ফৌজের যাহারা হতাবশিষ্ট ছিল তাহারা প্রাণ লইয়া কোনওরূপে পলায়ন করিল। মোগলের পরাজয় বার্ত্তায় ত্রিপুরার খ্যাতি দিগ্‌দিগন্ত ছাইয়া গেল, প্রধান সেনাপতি গোবিন্দনারায়ণের জয়-ঘোষণায় ত্রিপুরা রাজ্য মুখরিত হইয়া উঠিল!

 যুদ্ধজয়ের অনতিকাল মধ্যেই মহারাজ কল্যাণমাণিক্য গোবিন্দনারায়ণকে যৌবরাজ্য প্রদান করেন, শুভদিনে এই পুণ্যকার্য্য অনুষ্ঠিত হইল। মহারাজের শেষকাল বহুবিধ পুণ্যকার্য্যের সহিত জড়িত হইয়া রহিয়াছে। ভারত ইতিহাসে হর্ষবর্দ্ধন সম্বন্ধে যেরূপ দান-কাহিনী প্রচলিত আছে, কল্যাণমাণিক্য সম্বন্ধেও সেইরূপ আখ্যান শুনা যায়। বিবিধ দানের মধ্যে তাঁহার তুলাদান বিশেষ খ্যাতি লাভ করিয়াছে। যজ্ঞ-হোম অন্তে মহারাজ তুলাদণ্ডে ধর্ম্মের আসনে বসিলেন—অপর দিকে ধনরত্ন রাখিয়া তাঁহার সমান ওজন করা হইল। তখন আসন হইতে নামিয়া আসিয়া মহারাজ সেই ধনরত্ন উৎসর্গ করিয়া দান করিলেন। নিজ পুরোহিত সিদ্ধান্তবাগীশকে তিন হস্তী, পঞ্চ অশ্ব, বস্ত্র, অলঙ্কার এবং মেহেরকুলে এক গ্রাম উৎসর্গ করিয়া দিলেন। তাঁহার তুলাদান কালে উদয়পুরে পঞ্চদশ সহস্র ব্রাহ্মণ আসিয়াছিলেন। সেতুবন্ধ মথুরা বারাণসী উড়িষ্যা প্রভৃতি দেশ হইতে দানগ্রাহীরা সমাগত হইয়াছিল। চন্দ্রপুরে উদয়মাণিক্য প্রতিষ্ঠিত চন্দ্রনাথ গোপীনাথ মূর্ত্তি অমরমাণিক্যের রাজত্বকালে মঘেরা লইয়া গিয়াছিল, নিজ বাহুবলে