পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৭৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৫০
 

কল্যাণমাণিক্য ও
বাদসাহী ফৌজ

চট্টগ্রাম হইতে সেই মূর্ত্তির পুনরুদ্ধার সাধন করিয়া শূণ্যমঠে স্থাপন করেন। সেই মঠের বাম পার্শ্বে ধর্ম্মমঠ নামে নূতন এক মঠ স্থাপন করেন, পুরসম্মুখে বিষ্ণুমন্দির নির্ম্মাণ করিয়া তাহার পূর্ব্বদিকে দোলমঞ্চ নির্ম্মাণ করেন, তাহারই সম্মুখভাগে দুর্গাগৃহ নির্ম্মিত হইল। উদয়পুরে তাঁহার পুণ্যকীর্ত্তিসমূহ ভগ্নাবস্থায় আজিও দেখিতে পাওয়া যায়।

 “কৈলাগড় দুর্গ মধ্যে কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তর নির্ম্মিত সিংহবাহিনী মহিষাসুর-মর্দ্দিনী দশভুজা ভগবতী মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ প্রতিমার নিম্নভাগে একটি শিবলিঙ্গ খোদিত থাকায় কালীমূর্ত্তি বলিয়া আখ্যাত হয় (তদন্তে দুর্গমধ্যে চ স্থাপয়ামাস কালিকাং—সংস্কৃত রাজমালা)। এই দেবীর মন্দির দুর্গমধ্যস্থিত উচ্চ ভূমিতে অবস্থিত। মহারাজ কল্যাণমাণিক্য এই মন্দিরের নির্ম্মাণকার্য্য শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই। দুর্গের পশ্চাদ্ভাগে অনন্তবিস্তৃত পর্ব্বতশ্রেণী, তাহার সম্মুখভাগে যতদূর দৃষ্টি সঞ্চালিত হয় সমতল ক্ষেত্র করতলস্থ রেখার ন্যায় দৃষ্ট হইয়া থাকে। কিন্তু সমতল ক্ষেত্র হইতে এই মন্দির কিম্বা দুর্গ কিছুমাত্র লক্ষ্য হয় না।”[১]

 এই দুর্গের আশ্রয়েই ত্রিপুরসৈন্য বাদসাহী ফৌজের পরাজয় সাধনে সক্ষম হয়। “মহারাজ কল্যাণমাণিক্য ‘হরগৌরী’ নাম স্বীয় নামের সহিত সংযুক্ত করিয়া স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা নির্ম্মাণ

  1. কৈলাস সিংহ প্রণীত রাজমালা, পৃঃ ৮২।