পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৯৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৬৬

গোবিন্দমাণিক্যের নিকট
আওরঙ্গজেবের পত্র

জেলাতে উপস্থিত থাকিয়া অপেক্ষা করিবার জন্য নিযুক্ত করিব। অতঃপর তাহাকে ধৃত করিলে বিশেষ যত্ন ও সতর্কতা সহকারে আমাদের সৈন্যাধ্যক্ষের হাওয়ালা (অর্পণ) করিয়া আমাদিগকে সন্তুষ্ট করতঃ পুরাতন জাবেতা অনুযায়ী বন্ধুতার শৃঙ্খল দৃঢ় করিবেন। নতুবা সম্পূর্ণ বিশ্বাস, যদি সেই অপরিণামদর্শী আপনার রাজ্যে অবস্থান করে তবে নিশ্চয়ই রাজ্যের অমঙ্গল ও বিশৃঙ্খলা ঘটিবে সন্দেহ নাই। আমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস এই যে পুরাতন বন্ধুতা অনুযায়ী উক্ত কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবেন।

নিবেদক
আলমগীরসাহ
দিল্লীর সম্রাট্।

 গোবিন্দমাণিক্য সবেমাত্র সিংহাসনে বসিয়াছেন, এরই মধ্যে প্রবল পরাক্রম আলমগীর বাদসাহের চিঠিতে তিনি নিশ্চয়ই চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছিলেন। সুজার নিরুদ্দেশ যাত্রার সংবাদ তিনি সবিশেষ অবগত ছিলেন। সুজা যতকাল ধৃত না হইবে বাদসাহ হয়ত ভাবিবেন ত্রিপুরেশ্বর তাঁহাকে শৈলমালার মধ্যে আশ্রয় দিয়া রাখিয়াছেন। বাদসাহের এই সন্দেহের মূলে রাজত্বের সমূহ অনর্থ ঘটিতে পারে। একবার সুজার চক্রান্তে রাজ্যহারা হইয়াছিলেন, এবার বাদসাহের রোষে পড়িলে কি না ঘটিতে পারে? তাই যশোধরমাণিক্য হইতে হস্তী লইয়া এ যাবৎ দিল্লীর সম্রাটের সহিত যে মন কষাকষি চলিতেছিল এক্ষণে তাহা মানিয়া লইয়া