পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৮৩
 

মুকুন্দমাণিক্য ও
ইন্দ্রমাণিক্য

ত্রিপুরাকে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ বলিয়া মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন।”[১] ধর্ম্মমাণিক্য সসম্মানে স্বরাজ্যে ফিরিয়া আসিলেন। তাঁহার শেষকাল নানাবিধ সৎকীর্ত্তিতে উজ্জ্বল হইয়া আছে। তিনি মেহেরকুল, ছত্রগ্রাম, কসবা ও ধর্ম্মপুর নামক স্থানে নিজ নামে সাগর খনন করান এবং তিল, ধেনু ও তুলাপুরুষাদি নানাবিধ শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান যথারীতি সম্পন্ন করেন। তিনি অষ্টাদশ পুরাণ পাঠ শ্রবণে প্রীতি লাভ করেন। আঠার বৎসর রাজত্ব করিয়া কণ্ঠে দুর্গা নাম জপিতে জপিতে ১৭৩৬ খৃষ্টাব্দে মহারাজ পরলোক গমন করেন। ধর্ম্মমাণিক্যের শাসনে ত্রিপুরা রাজ্যের সমতল অংশ বিচ্ছিন্ন হইয়া জমিদারীরূপে পরিগণিত হয়।

(১৪)

মুকুন্দমাণিক্য ও ইন্দ্রমাণিক্য

 ভ্রাতার মৃত্যুর পর সর্ব্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা যুররাজ চন্দ্রমণি ঠাকুর মুকুন্দমাণিক্য নামে ১৭২৬ খ্রীষ্টাব্দে সিংহাসন আরোহণ করেন। তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র পাঁচকড়ি মুর্শিদাবাদে নবাবের নিকট রাজপ্রতিনিধিরূপে বাস করিতেন, এতদ্ব্যতীত রাণী প্রভাবতীর গর্ভে কৃষ্ণমণি ও আরও এক পুত্র জন্মিয়াছিল।


  1. কৈলাস সিংহ প্রণীত রাজমালা, পৃঃ ১০৬।