পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৭১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৪১
প্রতিভাবান্ বীরচন্দ্র

বীরচন্দ্রের হৃদয় অসহনীয় প্রিয়-বিরহে শোকাকুল হইয়া পড়ে। তখন তিনি বিরহীর মর্ম্মবেদনা কবিতার লহরে লহরে গাঁথিতে ছিলেন।

“দেবি! তুমি ত স্বরগপুরে, জানিনাকো কতদূরে
কোন্ অন্তরালদেশে করিতেছ বাস।
পশিতে কি পারে তথা মানবের আশালতা
বিরহের অশ্রুজল প্রাণ ভরা ভালবাসা?
হেথা আমি আছি পড়ে হৃদয়ের ভাঙ্গা ঘরে
গণিতেছি সারাদিন জীবনের বেলা
যেন রে উপলদেশে সাথী হীন একা বসে
জানিনা ফুরাবে কবে এ মরতের খেলা৷”

 “এমনি সময় কিশোর কবি রবীন্দ্রনাথ বিলাত হইতে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া “ভগ্নহৃদয়” নামে এক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন। কবি বীরচন্দ্রের তখনকার মানসিক ভাবের সহিত “ভগ্নহৃদয়ের” কবিতাগুলি সায় দিয়াছিল। গুণগ্রাহী বীরচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের তখনকার এই কাঁচা লেখার মধ্যেও তাঁহার অদ্যকার বিশ্ববিমোহন কাব্যপ্রতিভার প্রথম সূচনা দেখিতে পাইয়া তাঁহার প্রাইভেট সেক্রেটারী রাধারমণ ঘোষকে কলিকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিকট “ভগ্নহৃদয়” কাব্যগ্রন্থ মহারাজকে প্রীত করিয়াছে, তজ্জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করিতে প্রেরণ করেন। এ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাঁহার

 ১৬