সংবাদ পেয়েছ, ওর ওই মিথ্যে প্রমাণকে তুমি লোকজনের কথা বলে বিশ্বাস করছ কেন শুনি?
মথুর একটু বিস্মিত হইয়া প্রশ্ন করিল, কেন, তুমি কি ওর সম্পর্কে ভাল ছাড়া খারাপ কিছু কাউকেও বলতে শুনেছ?
সে বলিল, পুরুষের চাইতে মেয়েদের কথা মেয়েরাই বেশি জানে।
মথুর আবার প্রশ্ন করিল, তুমি কি শুনেছ?
এইবার একটু বক্রোক্তি করিয়া সে উত্তর দিল, মেয়েদের গোপন কথা শুনবার ব্যগ্রতা দেখাতে তোমার ভদ্রতায় বাধে না?
মথুর ঘোষ বিরক্ত বোধ করিল। যে উদ্দেশ্যেই হউক মথুরের নিশ্চিত ইচ্ছা ছিল মাতঙ্গিনী তাহার আশ্রয়ে থাকিবে। এখন নিজের ইচ্ছামত সকল কাজ হউক যে ভাবে—স্ত্রীর কাছ হইতে এই অপ্রত্যাশিত বিরুদ্ধ ব্যবহার পাইয়া সে বিরক্ত বোধ করিল।
কিছুকাল চিন্তা করিয়া সে বলিল, অন্তত তুমি এটা নিশ্চয়ই স্বীকার কর যে, আত্মীয় স্ত্রীলোককে বাড়ির বার করে দেওয়া অত্যন্ত খারাপ দেখায়। তুমি তো জান ও আমাদের আত্মীয়া—আমাদের ওপর ওর কি কোন দাবি নেই?
—আর একজনের আত্মীয়তাসূত্রেই তো ও আমাদের আত্মীয়া!— উত্তর যেন প্রস্তুতই ছিল—বোনের বাড়িতে ও আশ্রয় নিল না কেন? নিজের বোনের চেয়ে আমরা কি ওর বেশি আপন, না প্রিয়জন? তারা ওকে ভাল করেই জানে বলে বোধ হয় সেখানে ও আশ্রয় নিতে যায় নি।
মথুর অত্যন্ত বিরক্তমনে কহিল, তুমি অত্যন্ত ছোটলোক। পৃথিবীতে যে নিরাশ্রয়, তারও বিরুদ্ধে তোমার রাগ! আমার বাড়িতে খাওয়া-পরার অভাব আছে নাকি?
অভিমান করিয়া চম্পক বলিল, না। সে যাই হোক্, ও যদি এ বাড়িতে