পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমোহনের স্ত্রী 8 ግ কিন্তু হেমাঙ্গিনীর সে কার্য্য করিবার সাধ্য ছিল না । সে ভয়ে বিবর্ণ ও কম্পান্বিতকলেবর, তাহার মুখ দিয়া কথা ফুটিল না, পা চলিতে চাতিল না । মাতঙ্গিনীও কিংকৰ্ত্তব্যবিমুঢ় হইল। সে দেখিল, তাহার ভগিনী আতঙ্কে আত্মহারা হইয়াছে । এদিকে সময় নষ্ট করিলে চলিবে না । মুখর করুণ অধীর হইয়া উঠিতেছিল, এমন ভয়ঙ্কর একটা সংবাদবহনের প্রথম দূতী হইবার প্রলোভন ত্যাগ করা তাহার পক্ষে অসম্ভব, তাহ ছাড়া এই অপ্রত্যাশিত সংবাদে তাহার আতঙ্ক এমন প্রচণ্ড মূৰ্ত্তি ধারণ করিল যে, সে নিজেই মাতঙ্গিনীর দুশ্চিন্ত দূর করিবার জন্য ব্যাকুল হইল। মংস্যকুলবিনাশিনী করুণা অমঙ্গলের দূতী হওয়াটা মহাগৰ্ব্বের ব্যাপার মনে করিয়া যে কাৰ্য্য ন্যায়ত হেমাঙ্গিনীর করা উচিত ছিল সেই কাৰ্য্য সাধন করিবার জন্য মাধবের শয়নকক্ষ লক্ষ্য করিয়া ধাবিত হইল । অনতিবিলম্বে ফিরিয়া আসিয়া মাতঙ্গিনীকে জানাইল, মাধব তাহার কথা বিশ্বাস করিতেছে না ; বিশেষত মাতঙ্গিনী মাধবের বাড়িতে উপস্থিত এবং সে-ই এই সংবাদ বহন করিয়া আনিয়াছে—করুণার মুখে এইরূপ কথা শুনিয়া মাধব আরও অবিশ্বাসী হইয়াছে ; মাধব বলিয়াছে, সে যদি এথানে এসে থাকে, তার কাছ থেকেই খবরটা শুনতে চাই । তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, তার মুখে শুনলেই বুঝতে পারব বিপদ কতখানি । তাকে এখানে আসতে বল । মাতঙ্গিনী ভগিনীকে বলিল, তুই যা হেম, মাধবকে বল গিয়ে যে আমি এসেছি এবং যা বলছি তা সত্যি । তোর কথা সে বিশ্বাস করবে । হেমাঙ্গিনী বলিল, সে আমি পারব না, তুমি নিজে যাও দিদি, তিনি যা জিজ্ঞেস করবেন, তার জবাব আমি দেব কেমন ক’রে ? তুমিই সব কথার জবাব দাও গিয়ে । আর সময় নষ্ট করে না । তুমি যা বলছ, তাই যদি হয় তা হ’লে—