পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br রাজমোহনের স্ত্রী —আমার না যাওয়াটাই ভাল হেম । তাকে বল গিয়ে আমি এসব কথা বলেছি আর সত্যি কথা বলেছি । অনিচ্ছুক হেমাঙ্গিনী বালিকার মত গে। ধরিয়া বলিল, না দিদি, তুমিই যাও। মাতঙ্গিনী অভ্যন্ত গম্ভীর হইয়া বিচলিতস্বরে বলিল, আমি যেতে পারি না, আমি যাব না হেম । করুণ হাসিতে হাসিতে চীংকার করিয়া উঠিল, হায় কপাল, তা হ’লে এসব কিছু নয়। তোমার দিদি তোমাকে ভয় দেখাচ্ছে মা । হেমাঙ্গিনীর মুখ সহসা উজ্জল হইয়া উঠিল, সত্যি দিদি, আমাকে ভয় দেখাচ্ছে শুধু ? আমার কিন্তু বড় ভয় হয়েছে। এখন বল না, কেন এসেছ । W মাতঙ্গিনী কিয়ংকাল নীরব থাকিয়া কি চিন্তা করিল, তারপর মনে মনে কর্তব্য স্থির করিয়া লইয়া সে বলিল, আচ্ছা, আমি মাচ্ছি । হেম, তুই আমার সঙ্গে আয় । দিদির সম্মুখে স্বামীসন্নিধানে যাইতে লজ্জাশীল হেমাঙ্গিনী কিছুতেই রাজী হইল না, যদিও মুখ ফুটিয়া সে সে কথা বলিতে পারিল না। তা হ’লে এখানে থাক, আমি না আসা পর্য্যন্ত আমার কথা বা এই খবর ঘূণাক্ষরেও কাউকে বলিস না—এই কথা বলিয়া মাতঙ্গিনী ঝড়ের মত বারান্দা পার হইয়া গেল। ইতিমধ্যেই সে লক্ষ্য করিয়াছে বৃক্ষশীর্ষের অন্তরালে চাদ ডুবিতে বসিয়াছে। কিন্তু মাধবের কক্ষের দ্বারে আসিয়া মাতঙ্গিনীর পা কঁাপিতে লাগিল, আমবাগানে ডাকাতদের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডের আলোকে দাড়াইয়াও তাহা এমন করিয়া কাপে নাই । শাড়ির আঁচলটা মাথার উপর খানিকটা টানিয়া দিয়া সে ধীরে যেন নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে অগ্রসর হইল । একবার পিছাইয়া, আবার আগাইয়া, খানিক থামিয়া সে দরজা ঠেলিল, আবার থামিল এবং অবশেষে কক্ষে