এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভূমিকা

মাত্র। ইহাতে আরও এই শিক্ষা দেয় যে, যেমন সমুদয় বাসনা ও অভাব মানুষের অন্তরেই রহিয়াছে, সেইরূপ তাহার অন্তরেই তাহার ঐ অভাব মোচনের শক্তিও রহিয়াছে; যখনই এবং যেখানেই কোন বাসনা, অভাব বা প্রার্থনা পরিপূর্ণ হয়, তখনই বুঝিতে হইবে যে, এই অনন্ত ভাণ্ডার হইতেই এই সমুদয় প্রার্থনাদি পরিপূর্ণ হইতেছে, উহা কোন অপ্রাকৃতিক পুরুষ হইতে নহে। অপ্রাকৃতিক পুরুষের ধারণায় মানুষের ক্রিয়াশক্তি কিঞ্চিৎ পরিমাণে উদ্দীপ্ত হইতে পারে বটে, কিন্তু ইহাতে আবার আধ্যাত্মিক অবনতি আনয়ন করে। ইহাতে স্বাধীনতা চলিয়া যায়; ভয় ও কুসংস্কার আসিয়া হৃদয়কে অধিকার করে। ইহা ‘মানুষ স্বভাবতঃ দুর্ব্বলপ্রকৃতি’ এইরূপ ভয়ঙ্কর বিশ্বাসে পরিণত হইয়া থাকে। যোগী বলেন, ‘অপ্রাকৃতিক বলিয়া কিছু নাই, তবে প্রকৃতির স্থূল ও সূক্ষ্ম দ্বিবিধ প্রকাশ বা রূপ আছে বটে।’ সূক্ষ্ম কারণ, স্থূল কার্য্য। স্থূলকে সহজেই ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করা যায়, সূক্ষ্ম তদ্রুপ নহে। রাজযোগ অভ্যাস দ্বারা সূক্ষ্ম অনুভূতি অজ্জির্ত হইতে থাকে।

ভারতবর্ষে যত বেদমতানুসারী দর্শনশাস্ত্র আছে, তাহাদের সকলের একই লক্ষ্য—পূর্ণতা লাভ করিয়া আত্মার মুক্তি। ইহার উপায় যোগ। ‘যোগ’ শব্দ বহুভাবব্যাপী। সাংখ্য ও বেদান্ত উভয় মতই কোন না কোন আকারে যোগের সমর্থন করে।

বর্ত্তমান গ্রন্থে নানাপ্রকার যোগের মধ্যে রাজযোগের বিষয় লিখিত হইয়াছে। পাতঞ্জলসূত্র রাজযোগের শাস্ত্র ও সর্ব্বোচ্চ প্রামাণিক গ্রন্থ। অন্যান্য দার্শনিকগণের কোন কোন দার্শনিক

৶৹