পাতা:রাজযোগ.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইবে । সুতরাং মানুষ যে এঞ্জিনেব মত যন্ত্রমাত্র নহে, তাহা প্রমাণ করিতে গেলে তাছাকে দেখাইতে হইবে যে, সে কিছুরই অধীন নয়। এইরূপে মনকে সংযম করা ও উহাকে বিভিন্ন ইন্দ্রিয়-গোলকে সংযুক্ত হইতে না দেওয়াই প্রত্যাহার। ইহা অভ্যাস করিবার উপায় কি ? ইহা একদিনে হটবার নহে, অনেক দিন ধরিয়া ইহাব অভ্যাস করিতে হইবে । ধীরভাবে সহিষ্ণুতার সহিত ক্রমাগত বহু বর্ষ অভ্যাস করিলে তবে ইহাতে কৃতকার্য্য হওয়া যায় । কিছু কালের জন্ত প্রত্যাহার সাধন করিবার পর তৎপরের সাধন অর্থাৎ ধারণা অভ্যাস করিবাব চেষ্টা করিতে হইবে। প্রত্যাহাবের পর ধারণা—ধারণ অর্থে মনকে দেহাভ্যন্তরবর্তী অথবা বহির্দেশস্থ কোন দেশবিদেশে ধারণ বা স্থাপন করা। মনকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ধারণ করিতে হইবে, ইহার অর্থ কি ? ইহার অর্থ এই, মনকে শরীরের অন্য সকল স্থান হইতে বিশ্লিষ্ট করিয়া কোন এক বিশেষ অংশ অনুভব করিবার জন্য বলপূৰ্ব্বক নিযুক্ত রাখা। মনে কর, যেন আমি মনকে হস্তের উপর ধারণ করিলাম, শরীরের অন্তান্ত অবয়ব তখন চিন্তার অবিষয়ীভূত হইয়া পড়িল। যখন চিত্ত অর্থাৎ মনোবৃত্তি কোন নির্দিষ্ট দেশে আবদ্ধ হয় তখন উহাকে ধারণা বলে । এই ধারণা নানাবিধ । এই ধারণা অভ্যাসের সময় কিছু কল্পনার সহায়তা লইলে ভাল হয় । মনে কর, হৃদঙ্গাধ্যস্থ এক বিন্দুর উপর মনকে ধারণা করিতে হইবে। ইহা কাৰ্য্যে পরিণত করা বড় কঠিন। অতএব সহজ উপায় এই যে, হৃদয়ে একটি পদ্মের চিস্ত কর, উহা ケ? -