পাতা:রাজযোগ.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান ও সমাধি মানবীয় জ্ঞান অতিক্রম করিতে পারে, তাহা কখন কখন লোকের দৈবাৎ লাভ হইতে পারে ; সে ব্যক্তি অতীন্দ্রিয়জ্ঞানলাভের বিজ্ঞান সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ থাকিতে পারে, কিন্তু তাহাতে তাহার ঐ জ্ঞানলাভের প্রতিবন্ধক হয় না। কে যেন তাহাকে ঐ জ্ঞানরাজ্যে ঠেলিয়া ফেলিয়া দেয়। আর ঐরূপ হঠাৎ অতীন্দ্ৰিয়জ্ঞানলাভ হইলে সে সাধাবণত: মনে করে যে, ঐ জ্ঞান বহিঃপ্রদেশ হইতে আসিতেছে । ইহা হইতে বেশ বুঝা যায়. যে, এই পারমার্থিক জ্ঞান সকল দেশেই প্রকৃতপক্ষে এক হইলেও কোন দেশে দেবদূত হইতে, কোন দেশে দেশবিশেষ হইতে, আবার কোথাও বা সাক্ষাৎ ভগবান হষ্টতে প্রাপ্ত বলিয়া শুনা যায় কেন । ইহার অর্থ কি ? ইহার অর্থ এই যে, মন নিজ প্রকৃতিবশে নিজ অভ্যস্তব হইতেই ঐ জ্ঞান লাভ করিয়াছে। কিন্তু যাহারা উহা লাভ করিয়াছেন, তাহারা নিজ নিজ শিক্ষণ ও বিশ্বাস অনুসাবে ঐ জ্ঞান কিরূপে লাভ হইল, তাহার বর্ণনা করিয়াছেন। প্রকৃত কথা এই যে, ইহারা সকলেই ঐ জ্ঞানাতীত অবস্থায় হঠাৎ আসিয়া পড়িয়াছেন। যোগীরা বলেন, এই জ্ঞানাতীত অবস্থায় হঠাৎ আসিয়া পড়ায় এক ঘোর বিপদাশঙ্কা আছে। অনেক স্থলেই মস্তিষ্ক একেবারে নষ্ট হইবার সম্ভাবনা। আরও দেখিবে, যে সব ব্যক্তি হঠাৎ এই অতীন্দ্রিয়জ্ঞান লাভ করিয়াছেন অথচ ইহার বৈজ্ঞানিক তত্ব বুঝেন নাই, তাহার৯ যত বড়ই হউন না কেন, তাহারা সাধারণতঃ অন্ধকারে হাতড়াইয়াছেন এবং তাহদের সেই জ্ঞানের সহিত কিছু না কিছু কিভূতকিমাকার কুসংস্কার মিশ্রিত আছেই আছে।