পাতা:রাজযোগ.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ করিতে পারিবেন, কারণ, যত কিছু বস্তু আমাদের প্রত্যক্ষ হয়, এমন কি সমুদয় চিত্তবৃত্তি পর্য্যস্ত . এই মানসিক প্রতিক্রিয়ার ফল । এরূপ অবস্থালাভ হইলে, তিনি নিজ মনের যেন ভিত্তি পৰ্য্যন্তও অসুভব করিবুেন এবং মন তখন র্তাহার সম্পূর্ণ বশে আসিবে ; যোগীব নিকট তখন নানাপ্রকার অলৌকিক শক্তি আসিবে । কিন্তু যদি তিনি এই সকল শক্তিলাভে প্রলোভিত হইয়া পড়েন, তবে তাহার ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ অবরুদ্ধ হইয়া যায়। ভোগের পশ্চাতে ধাবমান হওয়ায় এতই অনর্থ ! কিন্তু যদি তিনি এই সকল অলৌকিক-শক্তি পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করিতে পারেন, তবে তিনি মন-রূপ-সমুদ্র-মধ্যস্থ সমুদয় বৃত্তিপ্রবাহকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করা-রূপ যোগের চরম লক্ষ্যে উপনীত হইতে পারিবেন। তখনই, মনের নানাপ্রকাব বিক্ষেপ ও দৈহিক নানাবিধ গতি দ্বাবা বিচলিত না হইয়া, আত্মার মহিমা নিজ পূর্ণ জ্যোতিতে প্রকাশিত হইবে। তখন যোগী জ্ঞানঘন, অবিনাশী ও সৰ্ব্বব্যাপিরূপে নিজ স্বরূপের উপলব্ধি করিবেন, বুঝিবেন--তিনি অনাদিকাল হইতেই ঐক্ষপ রহিয়াছেন। এই সমাধিতে প্রত্যেক মমুষ্যের, এমন কি, প্রত্যেক প্রাণীর অধিকার আছে। অতি নিম্নতর ইতর জন্তু হইতে অতি উচ্চ দেবতা পর্য্যস্ত, কোন না কোন সময়ে সকলেই এই অবস্থা লাভ করিবে, আর যাহার যখন এই অবস্থা লাভ হইবে, সে তখনই, কেবল তখনই, প্রকৃত ধৰ্ম্ম লাভ কবিবে। তবে এক্ষণে আমরা যাহা করিতেছি, এগুলি কি ? ঐগুলির সহায়ে আমরা ঐ অবস্থর দিকে ক্রমাগত অগ্রসব হইতেছি। এক্ষণে আমাদের Ֆ ֆ Հ