পাতা:রাজযোগ.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় ংক্ষেপে রাজযোগ ( কুৰ্ম্মপুরাণ, উপরিভাগ, একাদশ অধ্যায় হইতে উদ্ধৃত ) যোগাগ্নি মানবের পাপ-পিঞ্জরকে দগ্ধ করে এবং তখন সত্ত্বশুদ্ধি ও সাক্ষ্যৎ নিৰ্ব্বাণ লাভ হয়। যোগ হইতে জ্ঞান লাভ হয়। জ্ঞানও যোগীর মুক্তি-পথের সহায় । যাহাতে যোগ ও জ্ঞান উভয়ই বিরাজমান, ঈশ্বর তাহার প্রতি প্রসন্ন হন। র্যাহাবা প্রত্যহ একবার, দুইবাব, তিনবার অথবা সদা সৰ্ব্বদা মহাযোগ অভ্যাস বরেন, তাহাদিগকে দেবতা বলিয়া জানিবে। যোগ দুই প্রকার ; যথা—অভাব ও মহাযোগ । যখন আপনাকে শূন্ত ও সর্বপ্রকার গুণ বিরহিত রূপে চিন্তা করা যায়, তখন তাহাকে অভাবযোগ বলে। যদ্বারা আত্মাকে আনন্দপূর্ণ, পবিত্র ও ব্রহ্মেব সহিত অভিন্নরূপে চিন্তা করা হয়, তাহাকে মহাযোগ বলে। যোগী এই উভয় প্রকার যোগের দ্বারাই আত্ম-সাক্ষাৎকার করেন । আমরা অন্যান্ত ও যে সমস্ত যোগের কথা শাস্ত্রে পাঠ কবি বা শুনিতে} পাই, সে সমস্ত যোগ এই ব্ৰহ্মযোগের—যে ব্ৰহ্মযোগে যোগী আপনাকে ও সমুদয় জগৎকে সাক্ষাৎ ভগবৎস্বরূপে অবলোকন করেন, তাহার, এক কলার সমানও হইতে পারে না। ইহাই| সমুদয় যোগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। d রাজযোগের এই কয়েকটি বিভিন্ন অঙ্গ বা সোপান আছে। যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি। >> 8