পাতা:রাজযোগ.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র বিষয়বিশেষের পুনঃপুনঃ অম্বুধ্যানে নিযুক্ত করিতে হয়। এই প্রকার চিন্তু বা ধ্যানের বিষয় দুই প্রকার। প্রথম, জড় – চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্ব ও দ্বিতীয়,—চেতন পুরুষ। যোগের এই অংশটি সম্পূর্ণরূপে সাংখ্যদর্শনের উপর স্থাপিত। এই সাংখ্যদর্শনের বিষয় তোমাদিগকে পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। তোমাদের স্মরণ থাকিতে পারে, মন, বুদ্ধি অহঙ্কার-ইহাদের এক সাধারণ ভিত্তিভূমি আছে। উহাকে চিত্ত বলে, চিত্ত হইতেই উহাদের উৎপত্তি । এই চিত্ত প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন শক্তিগুলিকে গ্রহণ করিয়া উহাদিগকে চিস্তারূপে পরিণত করে , আবার শক্তি ও ভূত উভয়েবই কারণীভূত এক পদার্থ আছে; ইহা অবগুই স্বীকার করিতে হুইবে । এই পদার্থটিকে অব্যক্ত বলে--উহা স্মৃষ্টির প্রাক্কালীন প্রকৃতির অপ্রকাশিত অবস্থা। উহাতে এক কর পরে সমুদয় প্রকৃতিই প্রত্যাবর্তন করে, আবার পরকল্পে উহা হইতে পুনরায় সমুদয় প্রাদুর্ভূত হয় । এই সমুদয়ের অতীত প্রদেশে চৈতন্যঘন পুরুষ রহিয়াছেন। জ্ঞানই প্রকৃত শক্তি । কোন বস্তুর জ্ঞানলাভ হইলেই আমরা উহার উপব ক্ষমতা লাভ করি । এইরূপে যখনই আমাদের মন এই সমুদয় ভিন্ন ভিন্ন বিষয় ধ্যান করিতে থাকে, তখনই উহাদের উপর ক্ষমতা লাভ করিয়া থাকে। যে প্রকার সমাধিতে বাহ স্থল ভূতগণই ধোয় হয়, তাহাকে সবিতর্ক বলে। বিতর্ক অর্থে প্রশ্ন—সবিতর্ক অর্থে , প্রশ্নের সহিত। বাহাতে ভূতসমূহ উহাদের অন্তর্গত সত্য ও উহাদের সমুদয় শক্তি ঐক্ষপ ধ্যানগরায়ণ পুরুষকে প্রদান করে, બફેરારુ ઝિશનિઃ શ્વસ > g.o.)