পাতা:রাজযোগ.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র .চিন্তা করা হয়, তখন উহাকে আনন্দ সমাধি বলে। যখন আমরা অন্তঃকরণকে রজস্তমোলেণশূন্ত শুদ্ধ সম্বরূপে চিন্তু করি, যখন সমাধি বিশেষ পরিপক্ক হইয়া ধায়, যখন স্থল স্বল্প সমুদয় ভূতের চিন্তা পরিত্যক্ত হইয়া মনের স্বরূপাবস্থাই ধোয় বিষয় হইয়া দাড়ায়, কেবল সাত্ত্বিক অহঙ্কার মাত্র অন্তান্ত বিষয় হইতে পৃথকৃত্বত হয়ে বর্তমান থাকে, তখন উহাকে অমিতা সমাধি বলে। এ অবস্থায়ও সম্পূর্ণরূপে মনের অতীত হওয়া যায়ু না । যে ব্যক্তি ঐ অবস্থা পাইয়াছেন, তাহাকেই বেদে “বিদেহ” বলিয়া থাকে। তিনি আপনাকে, স্থলদেহশূন্তরূপে চিন্তা করিতে পারেন বটে, কিন্তু তাহার নিজেকে স্বল্পশরীরধারী বলিয়া চিন্ত কবিতে হইবেই হইবে । যাহারা এই অবস্থায় থাকিয় সেই পরমপদ লাভ না করিয়া প্রকৃতিতে লয় প্রাপ্ত হন, তাহাদিগকে প্রকৃতিলীন বলে ; কিন্তু যাহারা ঐ প্রকার সুহ্ম ভোগমুখেও সস্তুষ্ট নন, র্তাহারাই চরমলক্ষ্য মুক্তিলাভ করেন । বিরামপ্রত্যয়াভ্যাসপূর্বঃ সংস্কারশেষোইন্যঃ ॥ ১৮ ॥ সূত্রার্থ।—অন্য প্রকার সমাধিতে সৰ্ব্বদা সমুদয় মানসিক ক্রিয়ার বিরাম অভ্যাস করা হয়, কেবল (বুখান প্রত্যয়হীন ) সংস্কার-মাত্র অবশিষ্ট থাকে। ব্যাখ্যা। ইহাই পূর্ণ জ্ঞানাতীত অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি ; ঐ সমাধি আমাদিগকে মুক্তি দিতে পারে। প্রথমে যে সমাধির কথা বলা হইয়াছে, তাহা আমাদিগকে মুক্তি দিতে পারে না— 3 & 4