পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র সূত্রার্থ।—যে যোগীর চিত্তবৃত্তিগুলি এইরূপ ক্ষীণ হইয়া যায় (বশে আইসে), তাহার চিত্ত তখন, যেমন শুদ্ধ স্ফটিক (ভিন্ন ভিন্ন বর্ণযুক্ত বস্তুর সম্মুখে তৎসদৃশ আকার ধারণ করে ), সেইরূপ গ্রহীতা, গ্রহণ ও গ্রাহ্য বস্তুতে (অর্থাৎ আত্মা, মন ও বাহা বস্তুতে) একাগ্রত ও একীভাব প্রাপ্ত হয়। ব্যাখ্যা । এইরূপ ক্রমাগত ধ্যান করিতে করিতে কি ফল লাভ হয় ? আমাদের অবগুই স্মরণ আছে যে, পূর্বের এক স্বত্রে পতঞ্জলি ভিন্ন ভিন্ন প্রকাব সমাধির কথা বর্ণনা করিয়াছেন। প্রথম সমাধি স্থল বিষয় লইয়া, দ্বিতীয়টি স্বক্ষ বিষয় লইয়া ; পরে ক্রমশঃ আরও স্বহ্মাণুস্তক্ষ্ম বস্তু আমাদের সমাধির বিষয় হয়, তাহাও পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে। এই সকল সমাধির অভ্যাস দ্বারা স্থলের স্তায় স্তন্ম বিষয়ও আমরা সহজে ধ্যান করিতে পারি। এই অবস্থায় যোগী তিনটি বস্তু দেখিতে পান—গ্রহীতা, গ্রাহ ও গ্রহণ অর্থাৎ আত্মা, বিষয় ও মন । তিন প্রকাব ধ্যানের বিষয় আমাদিগকে দেওয়া হইয়াছে। প্রথমতঃ স্থল, যথা, শরীব বা ভৌতিক পদার্থ সমুদয় (বিশ্বভেদ ) দ্বিতীয়তঃ, সুক্ষ বস্তু সমুদয়, যথা, মন বা চিত্তাদি । তৃতীয়তঃ, গুণবিশিষ্ট পুরুষ ( ঈশ্বর বা মুক্ত ) অথবা অস্মিতা বা অহঙ্কার। এখানে আত্মা বলিত্ত্বে উহার যথার্থ স্বরূপকে বুঝাইতেছে না । অভ্যাসের দ্বারা যোগী এই সমুদয় ধ্যানে দৃঢ়প্রতিষ্ঠ হইয়া থাকেন। তখন তাহার এতাদৃশী একাগ্রতা শক্তি লাভ হয় যে, যখনই তিনি 2ゲ●