পাতা:রাজযোগ.djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ সত্য আছে, বহিরিঞ্জিয় দ্বারা উহাদের প্রত্যক্ষ হইতে পারে, না। চক্ষু দ্বারা আমি ঈশ্ববকে দেখিতে পাই না অথবা হস্তদ্বারা স্পর্শ করিতে পারি না । আব ইহাও জানি যে বিচার আমাদিগকে ইন্দ্রিয়ের অতীত প্রদেশে লইয়া ঘাইতে পারে ন! ; উহ! আমাদিগকে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত প্রদেশে ফেলিয়া দিয়া চলিয়া যায় । সমস্ত জীবন বিচাব কর না কেন, তাহাব ফল কি হইবে ? আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রমাণ বা অপ্রমাণ কিছুষ্ট করিতে পারিবে না। এইরূপ বিচার ত জগৎ সহস্রবর্ষ ধরিয়া কবিয়া আসিতেছে । আমরা যাহা সাক্ষাৎ অতুভব করিতে পাবি, তাহাই ভিত্তিস্বরূপ কবিয়া সেই ভিত্তির উপব যুক্তি, বিচাবাদি করিয়া থাকি। অতএব ইহা স্পষ্টই বোধ হইতেছে যে, যুক্তিকে এই বিষয়ানুভূতিরূপ গণ্ডির ভিতর ভ্রমণ করিতে হইবেই হইবে ; উহ। তাহার উপর কখনই যাইতে পারে না । সুতরাং যাহা কিছু আধ্যাত্মিক তত্ত্ব অনুভব কবিতে হষ্টবে, সমুদয়ই আমাদেব ইন্দ্রিয়ের অতীত প্রদেশে। যোগীরা বলেন, মানুষ ইন্দ্রিয়জ প্রত্যক্ষ ও বিচাবশক্তি উভয়কেই অতিক্রম করিতে পারে। মানুষেব নিজ বুদ্ধিকেও অতিক্রম করিবার শক্তি রহিয়াছে আর এই শক্তি প্রত্যেক প্রাণীতে, প্রত্যেক জন্তুতেই অন্তর্নিহিত আছে । যোগাভ্যাসের দ্বারা এই শক্তি জাগরিত হয়। তখন মানুষ বিচারের গণ্ডি পার হইয়া গিয়া তর্কের অগম্য বিষয়সমূহ প্রত্যক্ষ কবে । 'তজ্জঃ সংস্কারোহন্তসংস্কার প্রতিবন্ধী ॥ ৫ • ॥ 3> २