এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ আমাদের মধ্যে অনেকেই অন্তর্যন্ত্রের পর্য্যবেক্ষণ-শক্তি হারাইয়া ফেলিয়াছেন। মনকে অস্তমুখী করা, উহার বহিমুখী গতি নিবারণ করা, যাহাতে মন নিজের স্বভাব জানিতে পারে, নিজেকে বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে পারে, তজ্জন্ত উহার সমুদয় শক্তিগুলিকে কেন্দ্রীভূত করিয়া নিজের উপবেষ্ট প্রয়োগ করা অতি কঠিন কাৰ্য্য। কিন্তু এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রথায় অগ্রসর হইতে হইলে ইহাই একমাত্র উপায় । এইরূপ জ্ঞানের উপকারিতা কি ? প্রথমতঃ জ্ঞানই জ্ঞানের সৰ্ব্বোচ্চ পুরস্কার। দ্বিতীয়তঃ ইহার উপকারিতাও আছে-ইহা সমস্ত দুঃখ হরণ করিবে । যখন মানুষ আপনার মন বিশ্লেষণ করিতে করিতে এমন এক বস্তুকে সাক্ষাৎ দর্শন করে, যাহার কোন কালে নাশ নাই—যাহা স্বরূপত: নিত্যপূর্ণ ও নিত্যশুদ্ধ, তখন তাহার দুঃখ থাকে না, নিরাননা থাকে না। ভয় ও অপূর্ণ বাসনা সমুদয় দুঃখের মূল। পূৰ্ব্বোক্ত অবস্থা প্রাপ্ত হইলে মানুষ বুঝিতে পারিবে, তাহার মৃত্যু নাই, সুতরাং তখন আর মৃত্যু ভয় থাকিবে না। নিজেকে পূর্ণ বলিয়া জানিতে পারিলে অসার বাসনা আর থাকে না। পূৰ্ব্বোক্ত কারণদ্বয়ের অভাব হইলেই আর কোন দুঃখ থাকিবে না। তৎপরিবর্তে এই দেহেই পরমাননা লাভ হইবে। জ্ঞানলাভের একমাত্র উপায় একাগ্রতা। রসায়নতত্ত্বান্বেষী নিজের পরীক্ষাগারে গিয়া, নিজের মূনর সমুদয় শক্তি কেন্দ্রীভূত করিয়া, তিনি যে সকল বস্তু বিশ্লেষণ করিতেছেন, তাহাদের উপর প্রয়োগ করেন এবং এইরূপে তাহদের বৃহন্ত অবগত হল। У о