পাতা:রাজযোগ.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র ধারণা হয় .যে কেহই আমাদিগকে সত্যলাভ করিতে সাহায্য করিতে পারেন না, আমাদিগকে নিজেনিজেই নিজকে সাহায্য করিতে হইবে, ততদিন সমুদয় সত্যান্বেষণই বৃথা। বিবেক অভ্যাস করিতে আরম্ভ করিলে, আমরা যে সত্যের নিকটবর্তী হইতেছি, তাহার প্রথম চিহ্ন এই প্রকাশ পাইবে যে ঐ পূৰ্ব্বোক্ত অসন্তোষ অবস্থা চলিয়া যাইবে । আমাদের নিশ্চয় ধারণা হইবে যে, আমরা সত্য পাইয়াছি—ইহা সত্য ব্যতীত আর কিছুই হইতে পারে না। তখন আমরা জানিতে পারিব ষে, সত্যস্বরূপ স্বৰ্য্য উদিত হইতেছেন, আমাদের অজ্ঞানরজনী প্রভাত হইতেছে। তখন বুকে ভরসা বাধিস্থ সেই পরমপদ লাভ যতদিন না হয়, ততদিন অধ্যবসায়পরায়ণ হইয়া থাকিতে হইবে। দ্বিতীয় অবস্থায় সমস্ত দুঃখ চলিয়া যাইবে । জগতের বাহ বা আভ্যন্তর কোন বিষয়ই তখন আমাদিগকে দুঃখ দিতে পারিবে না। তৃতীয় অবস্থায় আমরা পূর্ণ জ্ঞান লাভ করিব ; অর্থাৎ সৰ্ব্বজ্ঞ হইব । চতুর্থ অবস্থায় বিবেক সহায়ে সমুদয় কৰ্ত্তব্যের অস্ত লাভ হইবে । তৎপরে চিত্তবিমুক্তি অবস্থা আসিবে। আমরা বুঝিতে পারিব, আমাদের বিঘ্নবিপত্তি সব চলিয়া গিয়াছে। “যেমন কোন পৰ্ব্বতের চুড়া হইতে একটি প্রস্তরখণ্ড নিম্ন উপত্যকায় পতিত হইলে, আর উহা কখন উপরে যাইতে পারে না, তদ্রুপ মনের চঞ্চলত, মনঃসংযমের অসামর্থ্য সমুদয় পড়িয়া যাইবে অর্থাৎ চলিয়া যাইবে।” তৎপরের অবস্থা এই হইবে—চিত্ত ধুঝিতে পারিবে যে, ইচ্ছা মাত্রই উহা স্বকারণে লীন হইয়া যাইতেছে। অবশেষে আমরা দেখিতে २७85