পাতা:রাজযোগ.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“যোগসূত্র বিষয় পরিত্যাগ করিয়া যেন চিত্তের স্বরূপ” গ্রহণ করে, তখন তাহাঁকে প্রত্যাহার বলা যায়। ব্যাখ্যা । এই ইঞ্জিয়গুলি মনেরই বিভিন্ন অবস্থা মাত্র । মনে কর, আমি একখানি পুস্তক দেখিতেছি । ’ বাস্তবিক, ঐ পুস্তকাকৃতি বাহিরে নাই। উহা কেবল মনে অবস্থিত। বাহিরের কোন কিছু ঐ আকৃতিটিকে জাগাইয়া দেয় মাত্ৰ ; বাস্তবিক উহা চিত্তেই আছে। এই ইঞ্জিয়গুলি, যাহা তাহাঁদের সম্মুখে আসিতেছে তাহাদেরই সহিত মিশ্রিত হইয়া, তাহদেরই আকার গ্রহণ করিতেছে। যদি তুমি মনের এই সকল ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি ধারণ নিবারণ করিতে পার, তবে তোমার মন শাস্ত হইবে এবং ইঞ্জিয়েরাও মনের অনুরূপ হইবে। ইহাকেই প্রত্যাহার বলে । ততঃ পরমবশ্বাতেন্দ্রিয়াণামৃ ॥ ৫৫ ॥ সূত্রার্থ —তাহা হইতেই ইন্দ্রিয়গণ সম্পূর্ণরূপে জিত হইয়া থাকে। v ব্যাখ্যা । যখন যোগী ইন্দ্রিয়গণের এইরূপ বহির্বস্তুর আকৃতি ধারণ নিবারণ করিতে পারেন ও মনের সহিত উহাদিগকে এক করিয়; ধারণ করিতে কৃতকাৰ্য্য হন, তখনই ইস্ক্রিয়গণ সম্পূর্ণরূপে জিত হইয়া থাকে। আর যখনই ইজিয়গণ জিত হয়, তখনই সমুদয় স্নায়ু, সমুদয় মাংসপেশী পৰ্য্যন্ত আমাদের বশে আসিয়া থাকে, কারণ, ইন্দ্রিয়গণই সৰ্ব্বপ্রকার অনুভূতি ও কাৰ্য্যের কেন্দ্রস্বরূপ । এই ইক্রিয়গণ, জ্ঞানেজিয় ও কৰ্ম্মেশ্রিয়

  • * *Rdet *