পাতা:রাজযোগ.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র সৰ্ব্ববিধ অবস্থাকে যুগপৎ গ্রহণ করিতে পারে, তাহাকে তারকজজ্ঞান বলে । ব্যাখ্যা। তারক অর্থে যাহা সংসার হইতে তারণ করে। সমুদয় প্রকৃতির স্বল্প স্থল সৰ্ব্ববিধ অবস্থা এই জ্ঞানের গ্রাহ। এই জ্ঞানে কোনরূপ ক্রম নাই। ইহা সমুদয়, বস্তুকে মুহূৰ্ত্তমধ্যে যুগপৎ গ্রহণ করিতে পাবে। সত্ত্বপুরুষয়োঃ শুদ্ধিসাম্যে কৈবল্যমিতি ॥ ৫৬ i সূত্রার্থ।—যখন সত্ত্ব ও পুরুষের শুদ্ধির সমতা হয়, তখনই কৈবল্য লাভ হয়। ব্যাখ্যা । কৈবল্যই আমাদের লক্ষ্য ; যখন এই লক্ষ্যস্থলে পহুছিতে পারা যায়, তখন আত্মা বুঝিতে পারেন যে, তিনি চিরকালই একমাত্ৰ—কেবল ছিলেন, তাহাকে স্বর্থী করিবার জন্ত আর কাহারও প্রয়োজন ছিল না। যতদিন আমরা আমাদিগকে সুখী করিবার জন্ত আর কাহাকেও চাহি, ততদিন আমরা দাসমাত্র। যখন পুরুষ জানিতে পারেন যে, তিনি মুক্তস্বভাব ও তাঁহাকে পূর্ণ করিতে আর কাহারও প্রয়োজন হয় না,—জানিতে পারেন যে, এই প্রকৃতি ক্ষণিক, ইহার কোন প্রয়োজন নাই, তখনই মুক্তিলাভ হয়, তখনই এই কৈবল্য লাভ হয়। যখন আত্মা, জানিতে পারেন যে, জগতের ক্ষুদ্রতম পরমাণু হইতে দেবগণ পৰ্য্যন্ত কিছুরই উপর তাহার নির্ভরের প্রয়োজন নাই, তখনই আত্মার সেই অবস্থাকে কৈবল্য ও পূর্ণতা o ՀԵ (