এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনের প্রথম সোপান ও আনন্দে উন্মত্ত হই—আমরাই সেই আত্মা ; ইহা ব্যতীত আর কোন পদার্থ নাই।” সেই অমুরের স্বভাব অজ্ঞান-মেঘাবৃত ছিল, সুতরাং সে আর এ বিষয়ে অধিক কিছু অন্বেষণ করিল না। আপনাকে ঈশ্বর ভাবিয়া সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হইল ; সে "আত্মা’ শব্দে দেহকে বুঝিল । কিন্তু দেবতাটির স্বভাব অপেক্ষাকৃত পবিত্র ছিল, তিনিও প্রথমে এই ভ্ৰমে পড়িয়াছিলেন যে, “আমি” অর্থে এই শরীর, ইহাই ব্ৰহ্ম, অতএব ইহাকে সবল ও সুস্থ রাখা, সুন্দর বসনাদি পরিধান করান ও সর্বপ্রকার দৈহিক মুখ সম্ভোগ করাই কৰ্ত্তব্য । কিন্তু কিছু দিন যাইতে না যাইতে র্তাহার প্রতীতি হইল, গুরুর উপদেশের অর্থ ইহা নহে যে, দেহই আত্মা দেহ অপেক্ষ শ্ৰেষ্ঠ কিছু আছে । তিনি তখন গুরুর নিকট প্রত্যাবৃত্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “গুরো ! আপনার বাক্যের তাৎপৰ্য্য কি এই যে, 'শরীরই আত্মা ? কিন্তু তাহা কিরূপে হইবে ? সকল শরীরই ধ্বংস হইতেছে দেখিতেছি, আত্মার ত ধ্বংস নাই। আচাৰ্য্য বলিলেন, “তুমি স্বয়ং এ বিষয় নির্ণয় কর ; তুমিই তাহা ।” তখন শিষ্য ভাবিলেন যে, শরীরের ভিতরে যে প্রাণ রহিয়াছে, তাহাকে উদ্দেশ করিয়াই বোধ হয় গুরু পূৰ্ব্বোক্ত উপদেশ দিয়া থাকিবেন । কিন্তু তিনি শীঘ্রই দেখিতে পাইলেন যে, ভোজন করিলে প্রাণ সতেজ থাকে, উপবাস করিলে প্রাণ দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে। তখন তিনি পুনরায় গুরুর নিকট গমন করিয়া বলিলেন—“গুরো, আপনি কি প্রাণকে আত্মা বলিয়াছেন?” গুরো বলিলেন, “স্বয়ং ইহা নির্ণয় কর, তুমিই তাছা।” সেই অধ্যবসায়শীল শিষ্য পুনৰ্ব্বার গুরুর নিকট হইতে আসিয়া