এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণ ছিল।” প্রাণের কোন প্রকার প্রকাশ ছিল না বটে, কিন্তু তখনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের দ্বারাও জানিতে পারি যে, জগতে যত কিছু শক্তির বিকাশ হইয়াছে, তাহাদেব সমষ্টি চিরকাল সমান থাকে, ঐ শক্তিগুলি কল্পাস্তে শাস্ত ভাব ধারণ করে—অব্যক্ত অবস্থায় গমন করে-~পরকল্পের আদিতে উহারাই আবাব ব্যক্ত হইয়া আকাশের উপর কার্য্য করিতে থাকে । এই আকাশ হইতে পরিদৃশুমান সাকার বস্তসকল উৎপন্ন হয় ; আর আকাশ পরিণাম-প্রাপ্ত হইতে আরম্ভ হইলে, এই প্রাণও নানা প্রকার শক্তিরূপে পরিণত হইয়া থাকে। এই প্রাণের প্রকৃত তত্ত্ব জানা ও উহাকে সংযম করিবার চেষ্টাই প্রাণায়ামের প্রকৃত অর্থ । এই প্রাণায়ামে সিদ্ধ হইলে আমাদের যেন অনন্ত শক্তির দ্বার খুলিয়া যায়। মনে কব, যেন কোন ব্যক্তি এই প্রাণের বিষয় সম্পূর্ণরূপে বুঝিতে পারিলেন ও উহাকে জয় করিতেও কৃতকাৰ্য্য হইলেন, তাহা হইলে জগতে এমন কি শক্তি আছে, যাহা র্তাহার আয়ত্ত না হয় ? তাহার আজ্ঞায় চন্দ্রস্বর্ঘ্য স্বস্থানচ্যুত হয়, ক্ষুদ্রতম পরমাণু হইতে বৃহত্তম স্বৰ্য্য পৰ্য্যন্ত র্তাহার বশীভূত হয়, কারণ, তিনি প্রাণকে জয় করিয়াছেন। প্রকৃতিকে বশীভূত করিবার শক্তিলাভই প্রাণায়াম-সাধনের লক্ষ্য। যখন যোগী সিদ্ধ হন, তখন প্রকৃতিতে এমন কোন বস্তু নাই, যাহা তাহার বশে না আসে। যদি তিনি দ্রেব্রুঠাদিগকে আসিতে আহবান করেন, র্তাহারা তাহার আজ্ঞামাত্রেই তৎক্ষণাৎ আগমন করেন ; মৃতব্যক্তৃিদিগকে আসিতে আজ্ঞা করিলে তাহারা তৎক্ষণাৎ আগমন 82