এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ কারণ, বাহ বস্তুর দীর্ঘকাল চিন্তা ও আলোচনার পব শরীবেব যে স্থানে ঐ মূলাধার চক্র (সম্ভবত: Sacral Plexus) অবস্থিত, তাহা উষ্ণ হইতে দেখা যায়। যদি এই কুণ্ডলিনী শক্তিকে ভাগরিত করিয়া জ্ঞাতসারে সুষুম্না নালীর ভিতর দিয়া এক কেন্দ্র হইতে অপর কেন্দ্র লইয়া যাওয়া যায়, উহা যেমন যেমন বিভিন্ন কেন্দ্রের উপর ক্রিয়া কবিবে, অমনি প্রবল প্রতিক্রিয়াব উৎপত্তি হইবে । যখন কুণ্ডলিনী শক্তির অতি সামান্ত অংশ কোন স্নাযুবজ্জীব মধ্য দিয়া প্রবাভিত হইয়া বিভিন্ন কেন্দ্র হইতে প্রতিক্রিয়াব স্বষ্টি কবে, তখন ত্বাহাই স্বল্প অথবা কল্পনা নামে অভিহিত হয়, কিন্তু যখন ঐ দীর্ঘকালসঞ্চিত বিপুলায়তন শক্তিপুঞ্জ দীর্ঘকালব্যাপী তীর ধ্যানেব শক্তিতে স্বযুম্নামার্গে ভ্রমণ করিতে থাকে, তখন যে প্রতিক্রিয় হয়, তাহা অতি প্রবল। তাহা স্বপ্ন বা কল্পনা কালীন প্রতিক্রিয়া হইতে ত অনন্ত গুণে শ্রেষ্ঠ বটেই, জাগ্রৎকালীন বিষশজ্ঞানের প্রতিক্রিয় হইতেও অনন্তগুণে প্রবল। ইহাই অতীন্দ্রিয় অনুভূতি আব মনেব এই অবস্থায় উহা জ্ঞানাতীত ভূমিতে আবোহণ কবিয়াছে বলা যায়। আবার যখন উহা সমুদয় জ্ঞানের, সমুদয় অনুভূতির কেন্দ্র স্বরূপ মস্তিষ্কে যাইয়া উপস্থিত হয়, তখন সমুদয় মস্তিষ্ক এবং উহার অনুভবসম্পন্ন প্রত্যেক পরমাণু হইত্তেই যেন প্রতিক্রিয়া হইতে থাকে, ইহার ফল জ্ঞানালোকের পূর্ণ প্রকাশ বা আত্মামুভূতি। কুণ্ডলিনী শক্তি যেমন যেমন এক কেন্দ্র হক্টতে অপর কেন্দ্রে যা বে, অমনি যেন মনের এক একটা পরদা খুশিয়া যুইবে এবং তখন যোগী এই জগতের সূক্ষ্ম বা কারণাবস্থাটিকে উপলব্ধি করিতে থাকিবেন। তখনই লে আমাদের বিষয়াভিঘাত ও উহার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ জগতের •