এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভূমিকা

প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যতিক্রম করেন,—তাহাদের অপেক্ষা অধিকতর দোষী। কারণ, ইহাদের বরং অজ্ঞতা অথবা বাল্যকালের ভ্রমপূর্ণ শিক্ষাপ্রণালীর (যাহা তাহাদিগকে এইরূপ অপ্রাকৃত পুরুষদিগের প্রতি নির্ভর করিতে শিক্ষা দিয়াছে ও যে নির্ভরতা এক্ষণে তাহাদের অবনত স্বভাবের একাংশস্বরূপ হইয়া পড়িয়াছে) দোহাই দেওয়া চলিতে পারে, কিন্তু পূর্ব্বোক্ত শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের দোহাই দিবার কিছুই নাই।

সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া লোকে এইরূপ অলৌকিক ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করিয়াছে, উহার বিষয়ে বিশেষরূপ চিন্তা করিয়াছে ও তৎপরে উহার ভিতর হইতে কতকগুলি সাধারণ তত্ত্ব বাহির করিয়াছে; এমন কি, মানুষের ধর্ম্মপ্রবৃত্তির ভিত্তিভূমি পর্য্যন্ত বিশেষরূপে তন্ন তন্ন করিয়া বিচার করা হইয়াছে। এই সমুদয় চিন্তা ও বিচারের ফল এই রাজযোগবিদ্যা। রাজযোগ,—আজকালকার অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতদিগের অমার্জ্জনীয় ধারা অবলম্বনে—যে সকল ঘটনা ব্যাখ্যা করা দুরূহ,—তাহাদিগের অস্তিত্বের অস্বীকার করে না বরং ধীরভাবে অথচ সুস্পষ্ট ভাষায় কুসংস্কারাবিষ্ট ব্যক্তিগণকে বলে যে আলৌকিক ঘটনা, প্রার্থনার উত্তর, বিশ্বাসের শক্তি এগুলি যদিচ সত্য, কিন্তু মেঘপটলারূঢ় কোন পুরুষ অথবা পুরুষগণ দ্বারা ঐ সকল ব্যাপার সংসাধিত হয়, এইরূপ কুসংস্কারপূর্ণ ব্যাখ্যা দ্বারা ঐ ঘটনাগুলি বুঝা যায় না। ইহা সমুদয় মানবজাতিকে এই শিক্ষা দেয় যে, জ্ঞান ও শক্তির অনন্ত সমুদ্র আমাদের পশ্চাতে রহিয়াছে, প্রত্যেক ব্যক্তি তাহারই একটি ক্ষুদ্র প্রণালী

৵৹