চতুর্থ পরিচ্ছেদ । ンを বলিল, “দিল্লীর পথে বিষ খাইব।” নিৰ্ম্মল জানিত ঐ অঙ্গুরীয়ুতে বিষ আছে । নিৰ্ম্মল শিহরিয়া উঠিল; কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “আর কি কোন উপায় নাই g" চঞ্চল বলিল, “আৱ উপায় কি সখি ? কে এমন বীর পুথিবীতে অাছে যে , আমায় উদ্ধার করিয়া দিল্লীশ্বরের সহিত শক্ৰতা করিবে ? রাজপুতনার কুলাঙ্গার সকলি মোগলেব দাস—আর কি সংগ্রাম আছে না প্রতাপ আছে ?” নিৰ্ম্মল । কি বল রাজকুমারি । সংগ্রাম কি প্রতাপ যদি থাকিত, তবে তাহারাই বা তোমার জন্য সৰ্ব্বস্ব পণ করিয়াই বা দিল্লীর বাদশাহের সঙ্গে বিবাদ করিবে কেন ? পরের জন্য কেহ সহজে সৰ্ব্বস্ব পণ করে না । প্রতাপ নাই, সংগ্রাম নাই, কিন্তু রাজসিংহ আছে—কিন্তু তোমার জন্য রাজসিংহ সৰ্ব্বস্ব পণ করিবে কেন ? ধিশেষ তুমি মাড়বারের মরান । চঞ্চল। সে কি ? বাহুতে বল থাকিতে কোন রাজপুত •শরণাগতকে রক্ষণ করে নাই ? আমি তাই ভাবিতেছিলাম . নিৰ্ম্মল—আমি এ বিপদে সেই সংগ্রাম প্রতাপের বংশতিলকেরই শরণ লইৰ-তিনি কি আমায় রক্ষা করিবেন না ? বলিতে বলিতে চঞ্চলদেবী ঢাক ছবিখানি উণ্টাইলেন–নিৰ্ম্মল দেখিল সে রাজসিংহের মূৰ্ত্তি। চিত্র দেখাইয়া রাজকুমারী বলিতে লাগিলেন, “দেখ সখি, এ রাজকাস্তি দেখিয়া তোমার কি বিপ্লাস হয় না যে ইনি অগতির গতি, অনাথার রক্ষক ? আমি আদি ইহার স্মরণ লই ইনি কি রক্ষা করিবেন না ?” নিৰ্ম্মীকুমারী অতি স্থিরবুদ্ধিশালিনী-চঞ্চলের সহোল্ল
পাতা:রাজসিংহ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
