নির্ম্মল বলিল “আমিও মরিব। তুমি আমার ফেলিয়া গেলেই কি আমি বাঁচিব?” চঞ্চল বলিল, “ছি। অমন কথা বলিও না—আমার দুঃখের উপর কেন দুঃখ বাড়াও?” নির্ম্মল বলিল, “তুমি আমাকে লইয়া যাও, বা না যাও, আমি নিশ্চয় তোমার সঙ্গে যাইব—কেহ রাখিতে পারিবে না।” দুইজনে কাঁদিয়া রাত্রি কাটাইল।
এদিকে, সৈয়দ হাসান আলি খাঁ, মনসবদার—মোগল সৈন্যের সেনাপতি, রাত্রি প্রভাতে রাজকুমারীকে লইয়া যাইবার সকল উদ্যোগ করিয়া রাখিলেন।
একাদশ পরিচ্ছেদ।
এই সময়ে, একবার মাণিকলালের কথা পাড়িতে হইল।
মাণিকলাল রাণার নিকট হইতে বিদায় হইয়া, প্রথমে আবার সেই পর্ব্বতগুহায় ফিরিয়া গেল। আর সে দস্যুতা করিবে, এমত বাসনা ছিল না, কিন্তু পূর্ব্ববন্ধুগণ মরিল কি রাঁচিল তাহা দেখিবে না কেন? যদি কেহ একেবারে না মরিয়া থাকে তবে তাহার শুশ্রূষা করিয়া বাঁচাইতে হইবে। এই সকল ভাবিতে ভাবিতে মাণিকলাল গুহাপ্রবেশ করিল।
দেখিল, দুইজন মরিয়া পড়িয়া রহিয়াছে। যে কেবল মূর্চ্ছিত হইয়াছিল, সে সংজ্ঞালাভ করিয়া উঠিয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে। মাণিকলাল তখন বিষণ্ণচিত্তে বন হইতে একরাশি