পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ১০০ )

রাজার সহিত জাফরালি খাঁর অতিশয় প্রীতি ছিল পরে পুত্ত্রানুরোধে তিনিও বিরক্ত হইলেন এইরূপে অপ্রীতি দিন২ বৃদ্ধি হওয়াতে কলহ ও উপদ্রব উপস্থিত হইয়া মহারাজ দুর্ল্লভরামকে মারিতে চেষ্টাকরিয়া ফৌজের দালালির ছলে সকল ফৌজ মহারাজের নিকটে পাঠাইয়া তাঁহাকে ঘেরিয়া রাখিলেন পরে রাজা কাশীমবাজারের ও মোরাদ বাগানের সাহেব লোকদিগকে পত্র লিখিবায় তখন হিষ্টিন সাহেব মুরাদ বাগানে কোম্পানি ফৌজের সরদার ছিলেন ঐ পত্র পাইয়া অনেক গোরাসমেত রাজার বাটীতে উপস্থিত হইয়া নবাবি ফৌজদিগকে দূর করিয়া দিলেন এবং কতক দিনের পর মহারাজ দুর্ল্লভরামকে কলিকাতায় পাঠাইয়া দিলেন তাহার পর ক্রমে২ মহারাজের পরিবারেরাও মুরশীদাবাদ হইতে কলিকাতায় আইলেন এইরূপে কলিকাতাবাসী হইলেন তাহাতে নবাব মিরন সুশঙ্কিত হইয়া কলিকাতায় আসিয়া সাহেবলোকের সহিত সাহিত্য করত রাজা দুর্ল্লভরামকে ধরিয়া লইয়া যাইবেন এই মতলবে সসৈন্য কলিকাতায় আইলেন তখন বালিসট্রোটর নামে বড় সাহেব ছিলেন তেঁহ নবাব মিরনের মনোগত অবগত হইয়া এক কোম্পানি গোরা ও কতক তেলাঙ্গা ও কএক টা তোপ মহারাজার গোলা বাড়ীতে ও নিজবাটীতে পাঠাইয়া দিলেন নবাব এই খবর পাইয়া শালিখার ফৌজ বলিয়া ইংরাজেরদিগের সহিত কথাবার্তা কহিয়া মুরশীদাবাদে গেলেন।