পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৪৯ )

 ঐ আমির তৈমুজ তোজক তৈমর নামে এক কেতাব করেন তাহার কারণ এই যে আপন সন্তানেরা ঐ মত ব্যবহার করে এবং অনেক২ কথা আছে তাহা ঐ কেতাব দেখিলেই জ্ঞাত হইতে পারাযায়।

 ঐ কেতাবের কতক চম্বক লিখিলাম প্রথমত লেখেন যে আমার সন্তানেরা এই রীত্যনুসারে কর্ম্ম করিবেক।

 তৈমরের নীচে ২৭ জন বাদশাহ ছিল সকলকে তৈমূর শাসিত করেন ইতি।

 তৈমর কহিতেছেন যে যে দেশ আমি যখন আমল করিয়াছি সেই দেশের রাজাকে বশীভূত করিয়া তাহার দেশে স্থাপিত করিয়াছি কখন কাহাকে রাজ্যচ্যুত করিনাই এবং সেই দেশের বৃদ্ধদিগের পিতার তুল্য ও যুবাদিগের ভ্রাতার তুল্য বা লক দিগের পুত্রবৎ প্রাচীনা দিগের মাতৃবৎ যুবতী দিগের ভগিনীবৎ বালিকা দিগের কন্যাবৎ জ্ঞান করিয়াছি আমার সন্তানেরাও এইমত জ্ঞান করিবেন আর ধনি ব্যক্তিদিগের ধন নিজ ধনের ন্যায় রক্ষা করিবেন এবং নির্ধনিদিগের ও ধনাঢ্য প্রজার দঃখে দুঃখী সুখে সুখী হইয়া আমি রাজ্য করিলাম আমার সন্তানেরা যদিও পৃথিবীপতি সকলের মান্য তথচ তাহারদিগের উচিত যে এই নীতি প্রচলিত রাখেন আর পণ্ডিত গুণী জ্ঞানী কবি সকলকে সম্মান যেমত আমি করিলাম সন্তানেরাও সেই মত করেন আর দৌলত নাম্নী এক অন্ধা স্ত্রী নানা প্রকার শ্লেষ