পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৬০ )

 অনেক২ প্রামাণিক ও উপযুক্ত লোকে কহিয়া থাকেন যে প্রয়াগ তীর্থের মধ্যে শ্রীম কুন্দনামা এক ব্রাহ্মচারী থাকিতেন তাঁহার পরিচারক এক ব্রাহ্মণ সর্ব্বদা নিকটে থাকিত ঐ ব্রহ্মচারী যোগী ছিলেন যোগাভ্যাস ছিল এবং যোগ সিদ্ধি হইয়াছিল এক দিবস তেঁহ গোলোম সহিত দুগ্ধ খাইয়া বসিয়া সাংসারিক ভোগেচ্ছা করিলেন এবং বিবেচনা করিলেন যে গোলোম খাইয়াছি মতে মনের বিকার হইল এবং যদি গোলোম ভক্ষণ হইল তবে আর এ শরীর রাখার প্রয়োজন নাহি তাহার পর বাঞ্ছাবট বৃক্ষকে আলিঙ্গন দিয়া সম্রাট হওয়ার ইচ্ছাতে প্রয়াগ তীর্থে শরীর ত্যাগ করিলেন তদনন্তর তাঁহার ভক্ত পরিচারক ব্রাহ্মণও শরীর ত্যাগ করেন ঐ মুকুন্দ নামা ব্রহ্মচারী আকবর শাহা হইলেন এবং পরিচারক ব্রাহ্মণ বীরবর হইল এ কথা আকবর আপনি প্রকাশ করিয়াছিলেন এবং ঐ আকবর জাতিস্মর ছিলেন তাহার সাক্ষী এই যে পাছে এই কথা প্রচার হইয়া সকলেই পৃথিবীর রাজা হওন কারণ বাঞ্ছাবটকে আলিঙ্গন দিয়া বাদশাহ হইবার বাঞ্ছা করেন এজন্য সীসা গালাইয়া পাতর দিয়া ঐ বাঞ্ছাবট গাঁথিয়া দিয়াছেন ইতি।

 এই বাদশাহের শেষাবস্থায় কালাপাহাড় নামে এক ব্রাহ্মণের সন্তান জবন হইয়াছিল সে পূর্ব্বে সিদ্ধ ছিল বাঙ্গলার তাহাকে এক বাদশাহ মোছলমান করিয়া আপন কন্যার সহিত বিবাহ দিয়াছিলেন তাহার কারণ কালাপাহাড় অত্যন্ত সুন্দর থাকা