পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৭১ )

অন্তরঙ্গেরা তাঁহাকে উঠাইয়া মূর্চ্ছাভঙ্গ করিলেন জ্ঞান হইলে মোসাহেবেরা জিজ্ঞাশা করিলেন যে আপনি অজ্ঞান কেন হইলেন হসন আলি খাঁ কহিলেন যে আমি তক্তে বসিতে যাইতে ছিলাম এমত সময়ে তক্তের নিকটে শূকর মুখাকৃতি অথবা বানর মুখাকৃতি ভীষণ মূর্ত্তি দণ্ড হস্তে করিয়া মারিতে আসিতেছে এইমত দেখিলাম ইহাতেই ভয়ে অজ্ঞান হইয়াছিলাম তাহার পর মহম্মদ শাহাকে কএদ হইতে খালাস করিয়া তক্তে বসাইলেন তেহ কএক দিন তক্তে বসিয়া হসেন আলি খাঁকে কিছু আজ্ঞা করিলেন তাহাতে তিনি মনে২ বিরক্ত হইয়া মহম্মদ শাহকে বিরলে লইয়া যাইয়া এক চপেটাঘাত মারিলেন আর কহিলেন যে তোক সে দিন বাদশাহ করিলাম তুই আমাকে হুকুম করিস যা আয তোকে মাফ করিলাম আর যদি কখন এমত করিস প্রাণে মারিয়া ফেলিব বাদশাহ মারিখাইয়া কান্দিতে২ আপন মাতার নিকট যাইয়া কহিবায় তাঁহার মাতা সান্ত্বনা করিয়া আর বাহির হইতে দিলেন না হসন অলি খাঁকে কহিলেন যে আমার পুত্র বালক বাদশাহীর কি জানে, অন্তঃপুরেই থাকুক তোমরা বাদশাহীর ব্যাপার কর ইহাতে হসন আলি খাঁ ভাল হইল জ্ঞান করিয়া আপনারাই বাদশাহী করিতে লাগিলেন তাহার পর হসন, খাঁ দক্ষিণে গেলে পরে ঐ স্বাবকাশে মহম্মদ শাহার মাতা মহম্মদ আলি খাঁ ও জিকরিয়া খা দুই জনের সহিত সাহিত্য করিয়া হসন আলি খাকে মারিয়া ফেলিলেন পরে