পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরঙ্গম। কী বল তুমি ! আমি আশীর্বাদ করৰ কিসের ! সুদর্শনা । সকলের কাছে নত হয়ে আমি আশীৰ্বাদ নেব। সবাই বলত এত প্রসাদ রাজা আর কাউকে দেন নি। তাই শুনে হৃদয় এত শক্ত হয়েছে যে আমার রাজাকেও আঘাত করতে পেরেছি। এত শক্ত হয়েছে যে হইতে লজ্জা করছে। এ লজ্জ কাটাতে হবে— সমস্ত পৃথিবীর কাছে নিচু হবার দিন আমার এসেছে। কিন্তু, কই, রাজা । এখনো কেন আমাকে নিতে আসছেন না ? আরো কিসের জন্তে তিনি অপেক্ষা করছেন ? সুরঙ্গম । আমি তো বলেছি আমার রাজা নিষ্ঠুর— বড়ো নিষ্ঠুর। স্বদর্শনা । স্বরঙ্গমা, তুই যা, একবার তার খবর নিয়ে আয় গে। সুরঙ্গমা । কোথায় তার খবর নেব তা তো কিছুই জানি নে । ঠাকুরদাকে ডাকতে পাঠিয়েছি— তিনি এলে হয়তো তার কাছ থেকে সংবাদ পাওয়া যাবে। ঠাকুরদার প্রবেশ স্বদর্শন। শুনেছি তুমি আমার রাজার বন্ধু— আমার প্রণাম গ্রহণ করে, আমাকে আশীর্বাদ করে । , ঠাকুরদা। কর কী— কর কী রানী ! আমি কারো প্রণাম গ্রহণ করি নে। আমার সঙ্গে সকলের হাসির সম্বন্ধ । সুদৰ্শন । তোমার সেই হাসি দেখিয়ে দাও— আমাকে স্বসংবাদ দিয়ে যাও । বলে আমার রাজা কথন আমাকে নিতে আসবেন । ঠাকুরদা। ঐ তো বড়ো শক্ত কথা জিজ্ঞাসা করলে । আমার বন্ধুর ভাবগতিক কিছুই বুঝি নে, তার আর বলব কী ! যুদ্ধ তো শেষ হয়ে গেল, তিনি যে কোথায় তার সন্ধান নেই । স্বদর্শন। চলে গিয়েছেন !