পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুরদার প্রবেশ

  • ांकूब्रन । cडोब एण, निनि, cडांब्र एडा । i.

স্বদর্শন। তোমাদের আশীর্বাদে পোঁচেছি, ঠাকুরদা, পোঁচেছি। ঠাকুরদা। কিন্তু আমাদের রাজার রকম দেখেছ? রখ নেই, বাদ্য নেই, সমারোহ নেই ! সুদৰ্শন । বল কী, সমারোহ নেই ? ঐ-যে আকাশ একেবারে রাঙা, ফুলগন্ধের অভ্যর্থনায় বাতাস একেবারে পরিপূর্ণ। ঠাকুরদা। তা হোক । আমাদের রাজা যত নিষ্ঠুর হোক, আমরা তো তেমন কঠিন হতে পারি নে— আমাদের যে ব্যথা লাগে । এই দীনবেশে তুমি রাজভবনে যাচ্ছ এ কি আমরা সহ করতে পারি ? একটু দাড়াও, আমি ছুটে গিয়ে তোমার রানীর বেশটা নিয়ে আসি । , সুদৰ্শনা । না না না ! সে রানীর বেশ তিনি আমাকে চিরদিনের মতো ছাড়িয়েছেন— সবার সামনে আমাকে দাসীর বেশ পরিয়েছেন— বেঁচেছি বেঁচেছি— আমি আজ তার দাসী – যে-কেউ তার আছে আমি আজ সকল্লুে নীচে । ঠাকুরদা। শত্রুপক্ষ তোমার এ দশা দেখে পরিহাস করবে সেইটে আমাদের অসহ হয় । সুদৰ্শন । শক্রপক্ষের পরিহাস অক্ষয় হোক— তারা আমার গায়ে ধুলো দিক । আজকের দিনের অভিসারে সেই ধুলোই যে আমার অঙ্গরাগ । ঠাকুরদা। এর উপরে আর কথা নেই । এখন আমাদের বসন্তউৎসবের শেষ খেলাটাই চলুক— ফুলের রেণু এখন থাক, দক্ষিনে হাওয়ায় এবার ধুলে উড়িয়ে দিক। সকলে মিলে আজ ধূসর হয়ে প্রভুর কাছে যাব। গিয়ে দেখব তার গায়েও ধুলো মাখা । তাকে বুঝি কেউ ছাড়ে Y S 3