পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 বিরুপাক্ষ। দেখো বিশু, মুখ সামলে কথা কও।

 বিশ্ববসু। মূখ যে কার সামলানো দরকার সে আর বলে কাজ নেই।

 প্রথম। চুপ চুপ, এ-সব ভালো হচ্ছে না। আমাকে সুদ্ধ বিপদে ফেলবে দেখছি। আমি এ-সব কথার মধ্যে নেই।

[সকলের প্রস্থান

ঠাকুরদাকে একদল লোকের টানাটানি করিয়া লইয়া প্রবেশ

 প্রথম। ঠাকুরদা, তোমাকে আজ এমন করে সাজালে কে? মালাটি কোন্ নিপুণ হাতের গাঁথা?

 ঠাকুরদা। ওরে বোকারা, সব কথাই কি খোলসা করে বলতে হবে নাকি? কিছু ঢাকা থাকবে না?

 দ্বিতীয়। দরকার নেই দাদা, তোমার তো সব ফাস হয়েই আছে। আমাদের কবিকেশরী তোমার নামে যে গান বেঁধেছে শোন নি বুঝি? সে যে ঘরে ঘরে রটে গেছে।

 ঠাকুরদা। একটা ঘরই যথেষ্ট, ঘরে ঘরে শুনে বেড়াবার কি সময় আছে?

 তৃতীয়। ওটা তোমার নেহাত ফাঁকা বড়াই। ঠাকরুনদিদি তোমাকে আঁচলে বেঁধে রাখে বটে! পাড়ার যেখানে যাই সেখানেই তুমি, ঘরে থাক কখন?

 ঠাকুরদা। ওরে, তোদর ঠাকরুনদিদির আঁচিল লম্বা আছে। পাড়ার যেখানে যাই সে আঁচল ছাড়িয়ে যাবার জো নেই। তা, করি কী বলছেন শুনি।

 তৃতীয়। তিনি বলছেন—

২৪