পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । dÑSo বল্লাল সেন যখন গঙ্গাতীরে কানসাটে মৃত্যুশয্যায় শায়িত, তখন তঁহার পৌত্ৰ মধু সেনকে জনৈক ধীবর রাঢ় ভূমি হইতে কানসাটে এক রাত্রির মধ্যে লইয়৷ আসিয়াছিল । এখনকার ষ্টিমারও তত দ্রুত চলিতে পারে না । আজকাল যেমন নদনদী শুকাইয়া আসিতেছে, তেমনই মাঝি মাল্লাদেরও অবনতি হইতেছে । তখনকার বড়লোকের। ছিপ রাখিত, এখনকার ধনীর বজরা রাখে। তখন মাঝিদের উপজীবিকা নৌকা ছিল, এখন উপজীবিকা মাছধরা হইয়াছে। ফলে এখন নৌকার অবনতি হইয়াছে ; মৎস্যকুলও নিৰ্ব্বংশ হইতে বসিয়াছে । সে কথা এখন যাক । সুৰ্য্যোদয়ের অনতিকাল পরে রাণী করুণাময়ী কন্যাকে লইয়া ছিপে উঠিলেন । আর এক খান ছিপে পচিশজন সশস্ত্ৰ যোদ্ধা উঠিল । গোবিন্দ । রাণীকে উঠাইয়া দিয়া নগরে ফিরিল । মহানন্দ। বাহিয়া চলনবিলে যাইতে হইলে অনেকটা । ঘূরিয়া যাইতে হয় । চলন বিল একটা বিস্তীর্ণ হ্রদ বিশেষ । কত নদ নদী এই চলন বিলে পড়িয়াছে; আবার কত স্রোতস্বতী এই চলন বিল হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। এই বিস্তীর্ণ হ্রদ অতিক্ৰম করিয়া রাজধানী সাতগড়ায়